নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ ডিসেমিনেশন সেমিনার অনুষ্ঠিত
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৪, ১১:১২ PM , আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৪, ১১:২৪ PM
যুক্তরাজ্যের বাথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ওয়েস্টমিনিস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি) ‘Rethinking Accountability for Digitised Futures in Bangladesh’ শীর্ষক এক গবেষণার ডিসেমিনেশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানটিতে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর জো ডেভাইন এবং ওয়েস্টমিনিস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ইপশিতা বসু।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এসআইপিজির সহযোগী অধ্যাপক এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএসএস বিভাগের চেয়ারম্যান ড. রিজওয়ান খায়ের। এসআইপিজির সেন্টার ফর পীস স্টাডিসের প্রধান সমন্বয়ক এবং পিএসএসের সহকারী প্রফেসর ড. আব্দুল ওহাবের বক্তব্যে অনুষ্ঠানটির সূচনা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের প্রফেসর সাদিক হাসান, বাংলাদেশ পাব্লিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং সেন্টার (বিপিএটিসি) এর ডিরেক্টিং স্টাফ ড. মোহসিন আলী এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জুলকারিন জাহাঙ্গীর এই সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সাসেক্স এর ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের কোভিড-১৯ লার্নিং, এভিডেন্স অ্যান্ড রিসার্চ প্রোগ্রাম (ক্লিয়ার)এর অর্থায়নে এই গবেষণাটিতে কোভিড-১৯ মহামারিতে সরকারের সেবা প্রদানে ডিজিটালাইজেশনে নতুন উদ্ভাবন কিভাবে সাংস্কৃতিক পরিবর্তন এনেছে এবং কিছু ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করেছে তা তুলে ধরা হয়েছে।
ড. আব্দুল ওহাবের সুচনা বক্তব্যের পর ড. রিজওয়ান খায়ের নিজেদের সুবিধার্থে গবেষক এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মাঝে একটি সেতুবন্ধন তৈরি করতে উদ্বুদ্ধ করেন।
প্রফেসর জো ডেভাইন গবেষণার ফলাফল থেকে জানান, ডিজিটালাইজেশন প্রথাগত প্যাট্রন-ক্লায়েন্ট সম্পর্কে এক নতুন চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি করেছে। তিনি আরো জানান, এই গবেষণা ডিজিটাল নাগরিকত্বে কি পরিবর্তন আনবে সেদিকে মনোনিবেশ করেছে।
ড. ইপশিতা বসু তার বক্তব্যে জানান, এই প্রকল্পটি ক্লিয়ার প্রোগ্রাম থেকে অনুপ্রাণিত। বাংলাদেশ যেভাবে কোভিড-১৯ মহামারির মোকাবিলা করেছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। দেশের জনগণের দলগত প্রতিক্রিয়া এক্ষেত্রে একটি ভালো উদাহরণ। আমরা জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ এবং প্রধানমন্ত্রীর ফান্ডের কার্যকলাপ এবং প্রভাবের উপর গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি।
প্রফেসর সাদিক হাসান বলেছিলেন যে, সরকারের ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) স্থাপনের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের 'দালাল শ্রেণি'কে উৎখাত করা যাদের জন্য সবার জন্য তথ্যের সহজলভ্যতা একটি বিরল সুযোগ ছিল। সরকার সবার জন্য সহজলভ্য করতে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (ইউডিসি) স্থাপন করার সংকল্প নিয়েছিল।
ড. মহসিন আলী তার বক্তব্যে কোভিড-১৯ মহামারিকে একটি সাফল্য হিসেবে বিবেচনা করে ডিজিটালাইজেশনকে নাগরিক এবং সরকার মধ্যে পার্থক্য মেটানোয় এক গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। জুম এবং বিটিভির মাধ্যমে শিক্ষা প্রোগ্রাম ও অর্থ সাহায্যের মাধ্যমে টিকাদান কর্মসূচি, দরিদ্র মানুষদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা সেবা ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সাফল্য এই সেমিনারে উল্লেখ করা হয়।
ড. জুলকারিন জাহাঙ্গীর বলেন যে, ডিজিটাল এবং অ্যানালগের সম্মিলন প্রকাশ করে যে, ডিজিটালাইজেশনে কিছু হলেও অগ্রগতি আছে, তবে এই ক্ষেত্রে আরো উন্নয়নের প্রয়োজন। তিনি এর প্রয়োগ এবং অন্যান্য ডিজিটাল সেবার জন্য একাধিক প্রবেশ পয়েন্টের পরামর্শ দেন।
বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, উন্নয়ন সংস্থা, দূতাবাস, মিডিয়া আউটলেট এবং অন্যান্য সংস্থার অংশগ্রহণকারীরা সরাসরি এবং অনলাইনও অংশগ্রহণ করেছিলেন। এনএসইউ এবং এসআইপিজির বিশিষ্ট অনুষদ সদস্যরাও এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ প্রশ্ন এবং গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করেছিলেন। দর্শকদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এই আলোচনাকে প্রাণবন্ত করে তোলে।