গবিতে বিভাগীয় প্রধানের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থীরা
গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

বিভাগীয় প্রধানের দুর্নীতি, কর্তৃত্বশালী আচরণ, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি এবং কেমিস্ট হয়েও ফার্মেসী বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় ফার্মেসী বিভাগ থেকে বিভাগীয় প্রধান নিলয় কুমার দে’র পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের হাতে ‘ডিপার্ট্মেন্টে ভূত, কেমিক্যালে টুট... টুট...' , ‘কেমিস্ট নয় ফার্মাসিস্ট চাই’, ‘চাটুকার চেয়ারম্যান চাই না’ লেখাসহ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। 

আন্দোলনের বিষয়ে ফার্মেসী বিভাগের মাস্টার্স ১ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী নাজমুল সামিউল বলেন, প্রথমত আমরা ফার্মেসী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কোন কেমিস্টকে চাই না, তাকে অবশ্যই ফার্মাসিস্ট হতে হবে। তাছাড়া বর্তমান বিভাগীয় প্রধান আমাদের সমৃদ্ধ ল্যাবকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। এই চাটুকার বিভাগীয় প্রধানের কারণে বিভাগে দূরাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা তার পদত্যাগ চাই। 

আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রলীগের হল কমিটিতে বহিষ্কৃত ছয় ছাত্র

নাজমুল সামিউলের বক্তব্যকালে তার বক্তব্যের পক্ষে সর্মথন দিয়ে শিক্ষক নিলয় কুমার দে'র পদত্যাগ দাবি করে স্লোগান দিতে থাকে শিক্ষার্থীরা। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফার্মেসী বিভাগের জনৈক শিক্ষক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। ল্যাবের অবস্থা আগের তুলনায় অনেক নাজুক। তবে প্রশাসন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের থেকে সময় নিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যেই আশা করা যায় সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

অভিযোগের ব্যাপারের নিলয় কুমার দে'র সঙ্গে কথা বলতে গেলে তার কক্ষে তালা ঝুলতে দেখা যায়। ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।

এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হয়েছে। তারা বিভাগীয় প্রধান হিসেবে ফার্মাসিস্ট চায়। তাদের দাবি যৌক্তিক। আমরা তাদের বিষয়টি দেখবো। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আন্দোলনের কারণে ফার্মেসী বিভাগ ছাড়াও ক্যাম্পাস জুড়ে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করার পর আন্দোলন স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা। ফিরে আসে স্বস্তি।


সর্বশেষ সংবাদ