বিএনপির মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ, বিজেপির কার্যালয়ে ভাঙচুর

বিএনপির মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ
বিএনপির মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণ  © সংগৃহীত

ভোলায় ছাত্রদল নেতা সিফাত হত্যার বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এরপরই জেলা বিজেপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। 

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ভোলা শহরের নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত ভোলা জেলা বিজেপি কার্যালয়ের সামনে এসব ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ছাত্রদল নেতা সিফাত হাওলাদার হত্যার বিচারের দাবিতে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিএনপি নেতাকর্মীদের অভিযোগ, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে স্থানীয় বিজেপি নেতাকর্মীরা জড়িত এবং তারাই সিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। মিছিলটি ভোলা সদরের বাংলাস্কুল মোড় ঘুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মিছিলের পেছনের অংশে কয়েকটি ককটেল সদৃশ বস্তুর বিস্ফোরণ ঘটে। এর পরপরই শহরের নতুন বাজার এলাকায় অবস্থিত জেলা বিজেপির দলীয় কার্যালয়ের তালা ভেঙে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে নতুন বাজার এলাকা উত্তপ্ত ছিল।

বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির সোপান অভিযোগ করে বলেন, গত ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ছাত্রদল নেতা সিফাত হাওলাদারকে তারেক রহমানের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে বিজেপির লোকজন এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে ভোলা জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। 

তিনি আরও বলেন, মিছিলটি ডিসি অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বিজেপির কার্যালয় থেকে মিছিল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা ককটেল নিক্ষেপকারীদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। তিনি আরও দাবি করেন, বিজেপি নেতাকর্মীরাই নিজেদের কার্যালয় ভেঙে বিএনপির ওপর দোষ চাপাচ্ছে।

অন্যদিকে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মো. মোতাসিম বিল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে বিজেপি অফিসের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নিজেরাই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করে এবং পরে তালাবদ্ধ বিজেপি কার্যালয়ে হামলা চালায়। এ সময় সেখানে আমাদের কোনো নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন না। 

তিনি বলেন, দলীয় কার্যালয়ে হামলাটি পূর্বপরিকল্পিত। বিএনপি নেতাকর্মীরা ন্যাক্কারজনকভাবে অফিসের গেটের তালা ভেঙে ভেতরে থাকা চেয়ার-টেবিল ও অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।

এ বিষয়ে ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গু‌লি ছোড়ে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বিজে‌পি অ‌ফিস হামলার ঘটনায় কেমন ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে সেটা এখনও আমরা নিশ্চিত নয়।

তিনি আরও বলেন, ককটেল বিস্ফোরণের মতো আমরা শব্দ শুনেছি। কিন্তু কে বা কারা ঘটিয়েছে সেটা এখনও আমরা নি‌শ্চিত হতে পারিনি।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!