সাংবাদিক নোমানকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জামায়াতের জেলা আমির

মাওলানা মুখলিছুর রহমান ও সাংবাদিক ওয়ালী উল্লাহ নোমান (ডানে)
মাওলানা মুখলিছুর রহমান ও সাংবাদিক ওয়ালী উল্লাহ নোমান (ডানে)  © টিডিসি সম্পাদিত

হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট–মাধবপুর) আসনে সাংবাদিক ওয়ালী উল্লাহ নোমানকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও জেলা আমির মাওলানা মুখলিছুর রহমান। সোমবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করে পোস্ট দিয়েছেন তিনি। 

পোস্টে মুখলিছুর রহমান লেখেন, আমি জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক প্রাথমিক মনোনয়নপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের প্রতিটি ইউনিয়নে স্থানীয় জামায়াতের নেতাকর্মীদের অক্লান্ত সহযোগিতায় নিয়মিত গণসংযোগ ও জনসম্পৃক্ততার কাজ চালিয়ে গেছি। মাঠের মানুষ, সাধারণ ভোটার এবং আমাদের সংগঠনের কর্মীদের কাছ থেকে যে ভালোবাসা, সাড়া ও উৎসাহ পেয়েছি—তা আমার জীবনের অন্যতম বড় প্রাপ্তি।

তিনি লেখেন, রাজনৈতিক বাস্তবতা ও সংগঠনের কৌশলগত বিচক্ষণতার জায়গা থেকে কেন্দ্রীয় সংগঠন এই আসনে সাংবাদিক ওয়ালী উল্লাহ নোমানকে এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার ব্যাপারে আমার সাথে পরামর্শ করে আমার সম্মতিতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংগঠনের সিদ্ধান্ত, দেশের স্বার্থ এবং ইসলামী রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি আনুগত্য থেকে আমি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে আন্তরিকভাবে স্বাগত ও মেনে নিচ্ছি।

তিনি আরও লেখেন, আমি স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, ব্যক্তিগত পদ-পদবি বা মনোনয়ন নয়, আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ন্যায়নীতি, সুশাসন ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা। তাই আমি নিজে এবং আমার সহকর্মীরা পূর্বের মতোই পূর্ণ শক্তি নিয়ে দাঁড়িপাল্লার বিজয়ের জন্য মাঠে কাজ চালিয়ে যাব।

উল্লেখ্য, ওয়ালী উল্লাহ নোমান ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন বিচারপতি ও একজন আইন বিশেষজ্ঞের মধ্যকার স্কাইপ ফোনে কথোপকথনের বিরবণ প্রকাশ করে আলোচিত হন। ওই ঘটনা ‘স্কাইপ কেলেঙ্কারি’ হিসেবে সমালোচিত হয়। পরে নিপীড়নের আশঙ্কায় তিনি দেশ ছাড়তে বাধ্য হন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে ফিরলেও গত জানুয়ারিতে আবারও বাইরে চলে যান নোমান।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!