জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট দিতে হবে: জামায়াত সেক্রেটারি

রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে আট-দলীয় জোটের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার
রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে আট-দলীয় জোটের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার  © টিডিসি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সরকার একটি চক্রের কুপরামর্শে একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচনের দিন নির্ধারণ করেছে। এটা অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট দিতে হবে।

রবিবার (৩০ নভেম্বর) রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে আট-দলীয় জোটের উদ্যোগে আয়োজিত পাঁচ দফা দাবিতে বিভাগীয় সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, ‘দেশে এক নতুন জাগরণ তৈরি হয়েছে, যা আট-দলীয় জোটের মাধ্যমে দৃশ্যমান। মানুষের মনে আশা সঞ্চার হয়েছে যে নতুন বাংলাদেশ ইসলামের বাংলাদেশ হবে। আমাদের আট দলের বার্তা, এই জাগরণের বার্তা গ্রামে-গঞ্জে পৌঁছে দিতে হবে। এই আট দল আর আট দল থাকছে না, আমাদের সঙ্গে আরও অনেক দল আসার আবেদন করছে। আমরা নতুন বাংলাদেশ চাই।’

তিনি বলেন, এবারের সংগ্রাম কোনো সাধারণ সংগ্রাম নয়, এটি হলো চাঁদাবাজ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম। 

সমাবেশে উপস্থিত অন্য বক্তারাও একই দাবিতে সোচ্চার হন। রাশেদ প্রধান বলেন, ‘আল্লাহ ছাড় দেন, ছেড়ে দেন না; রাকসু নির্বাচন তার প্রমাণ। তিনবার গণভোট হয়েছে, একবারও নির্বাচনের দিনে হয়নি। নির্বাচনের দিন গণভোটের নজির ইতিহাসে নেই।’

তিনি আরও বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারও একই দিনে নির্বাচন ও গণভোটকে চ্যালেঞ্জের বিষয় বলে মনে করেছেন।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট দিতে হবে। একই দিনে নির্বাচন ও গণভোট হতে পারে না। প্রশাসনকে নিরপেক্ষ হয়ে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে এবং খুনিদের বিচার করতে হবে। উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে।

বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চান বলেন, গণভোটে একটি দল ‘না’-এর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। জনগণ ‘হ্যাঁ’-এর পক্ষে ভোট দিয়ে তাদের ‘না’ করে দেবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম মেম্বার আশরাফ আলী আকন্দ বলেন, ‘দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ চায়। মানুষ জেগে উঠেছে। চাঁদাবাজদের দেখতে চায় না। আমরা কার্যকর পার্লামেন্টে পরিণত করব। এই ঐক্য টিকিয়ে রাখতে হবে, যাতে কেউ ফাটল ধরাতে না পারে।’

বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমির আব্দুল মাজেদ আতহারি বলেন, ‘রক্ত দিয়েছি, রক্ত আরও দেব। তবু আগে গণভোট ও জুলাই সনদ কার্যকর করব। তা না হলে দেশে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না।’

এ ছাড়া সমাবেশে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি শেখ মো. নুরুন্নবী, বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি শেখ মো. সালাউদ্দিন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ রোকনুজ্জামান রোকন, জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগরীর আমির ড. মাওলানা কেরামত আলী, নায়েবে আমির ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, রাকসুর ভিপি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদসহ স্থানীয় নেতারা।


সর্বশেষ সংবাদ