আগামী নির্বাচনে ফ্যাসিবাদের দোসরদের অংশগ্রহণ চলবে না: রাশেদ খান

 রাশেদ খান
রাশেদ খান  © টিডিসি ফটো

গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব রাশেদ খান বলেছেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমরা আস্থা রাখতে চাই। কমিশন জাতিকে ফ্যাসিবাদমুক্ত, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিয়ে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। তিনি বলেন, আমরা আমাদের অভিযোগের অনুলিপি সকল নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিবের কাছে জমা দিয়েছি।

আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) ১১টার পরে প্রধান নির্বাচন কমিশন এ এম এম নাসির উদ্দীন ও ইসি সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া পরবর্তী প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।

রাশেদ খান বলেন, যারা ২০২৪ সালের নির্বাচনে অংশ নিয়েছে, ডামি কিংবা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে, কিংবা যারা আওয়ামী লীগের নেতা ও পদধারী ছিলেন, তাদের কেউ আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এটি কোনভাবেই সম্ভব নয়, যেহেতু আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ হয়েছে। নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কোনো নেতা যদি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, তবে লুকিয়ে থাকা ও পালিয়ে থাকা আওয়ামী দুর্বৃত্তরা তাদের পেছনে কাজ করবে এবং নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত করবে।

তিনি বলেন, আমরা চাই না ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বিতর্কিত বা বানচাল হোক। আমরা চাই না আওয়ামী লীগের ষড়যন্ত্রকারীরা নতুন করে আরেকটি ১/১১-র মতো পরিস্থিতি তৈরি করুা।

গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা আরও বলেন, যারা ২০২৪ সালের নির্বাচনে ডামি বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, তারা কোনভাবেই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া যাবে না। একই সঙ্গে আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি, আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া সংলাপে যেন কোনভাবেই ফ্যাসিবাদের দোসর জাতীয় পার্টি বা ১৪ দলের কোনো প্রতিনিধি, যারা ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, তাদের আহ্বান না জানানো হয়।

রাশেদ খান বলেন, আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে স্পষ্টভাবে জানিয়েছি, যেখানে সরকার গঠিত জাতীয় ঐক্যমত কমিশন এই ফ্যাসিবাদের দোসরদের ডাকেনি, সেখানে নির্বাচন কমিশন কীভাবে তাদের আমন্ত্রণ জানাবে? যদি নিবন্ধনের দোহাই দিয়ে তাদের ডাকা হয়, তাহলে জনগণ আন্দোলনে নেমে আসবে। কারণ এই নির্বাচন কমিশন কোন কথিত কমিশন নয়, এটি গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী কমিশন, যার কাজ জনগণের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করা এবং জাতিকে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া।

তিনি আরও বলেন, আরপিও বা আইনের দোহাই দেখিয়ে এই ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের ডাকলে তা জনগণ মেনে নেবে না। গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী বাস্তবতায় সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।

রাশেদ খান বলেন, আমরা এখনো আস্থা ও বিশ্বাস রাখছি, নির্বাচন কমিশন ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনের অংশগ্রহণকারীদের কিংবা সাবেক আওয়ামী লীগ নেতাদের কোনোভাবেই নির্বাচনে অংশ নিতে দেবে না। একইভাবে আগামীকাল থেকে শুরু হওয়া সংলাপে ১৪ দল বা জাতীয় পার্টির মতো ফ্যাসিবাদের দোসরদের আহ্বান না জানিয়ে কমিশন যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। অন্যথায়, আমরা রাজপথে আন্দোলন গড়ে তুলব।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 


সর্বশেষ সংবাদ