জামায়াত যা করতে পারে না, তা এনসিপিকে দিয়ে করায়: রাশেদ খাঁন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০১:০৬ PM , আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০১:১৭ PM
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, জামায়াত যা করতে পারেনা, তা এনসিপিকে দিয়ে করায়। অর্থাৎ এনসিপির মধ্যে জামায়াত-শিবিরের যে নিয়োগ রয়েছে, তারা নাহিদ ইসলামদের উপর প্রভাব বিস্তার করে। তিনি বলেন, জামায়াত শিবিরের নিয়োগ পলিসির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে রাশেদ খান একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, এনসিপি ও জামায়াতের মধ্যে বোঝাপড়া আছে—এটি গোপন রাখতে চায় এনসিপি। এই সম্পর্ক আড়াল করতেই এনসিপি মাঝে মাঝে জামায়াতবিরোধী অবস্থান নেয়। এটি রাজনৈতিক কৌশলমাত্র।
গ্ণভোটের ব্যাপারে বলেন, জাতীয় নির্বাচন ও জুলাই সনদের পক্ষে একই দিনে ভোট—হ্যাঁ। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট—না।
তিনি বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে যখন প্রস্তাবনা উপস্থাপন করা হয়, তখন বিশেষজ্ঞরা একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের পক্ষে মতামত দেন। সে সময় জামায়াত ছাড়া সব দলই একমত হয়েছিল। এমনকি এনসিপিও প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান নেয়। কিন্তু পরদিনই এনসিপি তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে।
তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম লিখেছিলেন—‘নতুন করে আরেকটি মওদুদীবাদি প্রক্সি দলের দরকার নেই।’ তখনই বোঝা গিয়েছিল, এনসিপি বুঝে না বুঝে সেই পথেই হাঁটছে। এতে তাদের নিজস্ব রাজনীতি তৈরি হচ্ছে না।
সরকারের সমালোচনা করে গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, ১৪ মাসেও সরকার নিজের ফিটনেস তৈরি করতে পারেনি। নভেম্বর গণভোটের প্রসঙ্গ এনে ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। এতে কেবল আওয়ামী লীগই উপকৃত হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, ঐকমত্য কমিশন ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বাদ দিয়ে সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে। তাহলে ৯ মাস রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয় করে লাভ কী হলো? আগে থেকেই ৮৪টি বিষয়ে গণভোট নেওয়া যেত।
রাশেদ খান সতর্ক করে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ঐকমত্য কমিশন জামায়াত ও এনসিপি বাদে সব দলের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। দেশকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। আরেকটি ১/১১ অনিবার্য করা হচ্ছে।