উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হলেন ছাত্রদলের বর্তমান সহ-সভাপতি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫০ AM , আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:১১ AM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি থাকাবস্থায়ই মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব হয়েছেন সোহেল রানা নামে এক ছাত্রদল নেতা।
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মাদারীপুর জেলা শাখার আহবায়ক এ্যাডভোকেট মো. জাফর আলী মিয়া এবং সদস্য সচিব জাহান্দার আলী জাহান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শিবচরের এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।
১৭ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটিতে আহবায়ক হিসেবে রাখা হয়েছে শাহাদাত হোসেন (শাহাদাত কমিশনার)-কে। যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে- বেগম নাদিরা চৌধুরী, জহের গোমস্তা, শাজাহান মোল্লা সাজু, জনাব মোতাহার হোসেন হাওলাদার এবং মোঃ শহিদুল ইসলাম দিপুকে। অন্য সদস্যরা হলেন- নূরউদ্দিন মোল্লা, আবু জাফর চৌধুরী, ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান, আবুল বাসার সিদ্দিকী, মাহবুব মাদবর শহীদ চেয়ারম্যান, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, বাকাউল করিম খান (বাকা খা), মোঃ ইথু চৌধুরী, শামীম চৌধুরী এবং আব্দুল হান্নান মিয়া।
অন্যদিকে, সোহেল রানার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গিয়ে দেখা যায়- তিনি বর্তমান ছাত্রদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের (রাকিব-নাছির কমিটি) সহ-সভাপতি হিসেবে রয়েছেন। তবে জানা গেছে, ছাত্রদলের দায়িত্ব বা সদস্যপদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নেতাকর্মীদের বিএনপিতে যোগ দেওয়ার প্রচলন রয়েছে। কিন্তু তিনি ছাত্রদলে থাকাবস্থায়ই বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন।
শিবচর উপজেলা বিএনপির পদ পেলেন সোহেল
রবিবার বিএনপির শিবপুর উপজেলা কমিটি গঠনের বিজ্ঞপ্তিটির ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে ক্যাপশনে সোহেল রানা লেখেন, আলহামদুলিল্লাহ! অসীম শুকরিয়া মহান রবের দরবারে, যিনি প্রতিটি পদক্ষেপে আমাকে সাহস দিয়েছেন, অন্ধকারে আলোর দিশা দেখিয়েছেন। আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান সাহেবের প্রতি, যার দূরদর্শী নেতৃত্ব আমাদের সংগ্রামের অনন্ত প্রেরণা। সশ্রদ্ধ সালাম জানাই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে, যিনি এ দেশের মাটিতে গণতন্ত্রের বীজ রোপণ করেছিলেন নিজের রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে। শ্রদ্ধা ও অভিবাদন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি, যিনি শত প্রতিকূলতার ভেতর থেকেও সংগ্রামের আলোকবর্তিকা হয়ে আছেন। আমাদের ছায়া হয়ে মায়ের মমতায় আগলে রেখেছেন।
তিনি বলেন, আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। আমার মতো সাধারণ একটি ঘরের ছেলেকে বিএনপির মতো মহীরুহ সংগঠনের বিশাল প্ল্যাটফর্মে কাজ করার সুযোগ দেওয়া শুধু আমার ব্যক্তিগত সম্মান নয়, বরং আমার পরিবার, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং শিবচরের প্রতিটি ত্যাগী নেতাকর্মীর গৌরব। আমি অঙ্গীকার করছি, শিবচর উপজেলা বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী করতে আমার সমস্ত মেধা, শ্রম, শক্তি এবং হৃদয়ের সর্বোচ্চ নিবেদন উৎসর্গ করব ইনশাআল্লাহ।
সোহেল লেখেন, আজ আমি যে জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি, তা কোনো একদিনের গল্প নয়। বছরের পর বছর রক্তচক্ষু, পুলিশের গুলি, মিথ্যা মামলা আর আওয়ামী সন্ত্রাস মোকাবিলা করে আমি রাজপথে দাঁড়িয়ে থেকেছি। অনেক রাত কেটেছে অনিশ্চয়তার ভয়ে, অনেক দিন কেটেছে নিপীড়নের তীব্র চাপ নিয়ে। কিন্তু কখনো আমার বিশ্বাস টলেনি, আমার আদর্শ ভাঙেনি। কারণ আমি জানি, সত্যের পথে যারা হাঁটে, তারা কখনো একা হয় না।
তিনি আরও লেখেন, যাত্রায় অসংখ্য মানুষের দোয়া, ভালোবাসা আর সমর্থন ছিল আমার শক্তির মূল উৎস। আমার পরিবার-যারা নিঃশব্দে আমার সংগ্রামের কষ্ট কাঁধে নিয়েছে, আমার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে ত্যাগ স্বীকার করেছে-তাদের প্রতি আমার হৃদয়ের গভীর কৃতজ্ঞতা। আমার ক্যাম্পাস ও শৈশবের জাতীয়তাবাদী বন্ধুবান্ধব, রাজনৈতিক সহকর্মী, শুভানুধ্যায়ী, শুভাকাঙ্ক্ষীরা, যারা প্রতিটি সময় আমার পাশে থেকেছেন, তারাও আমার এই লড়াইয়ের অংশীদার।
সবশেষে সোহেল লেখেন, আজ আমি শুধু একজন রাজনৈতিক কর্মী নই; আমি একজন সৈনিক, যে ন্যায় ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাচ্ছে। আজন্ম লড়াই করে যেতে চায়। আমি চাই, আমার প্রতিটি নিঃশ্বাস দলের জন্য হোক, আমার প্রতিটি ত্যাগ দেশের জন্য হোক, আমার প্রতিটি পদক্ষেপ জনগণের মুক্তির জন্য হোক। আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, আমাকে দোয়ায় রাখবেন। আল্লাহ যেন আমাকে সত্য ও ন্যায়ের পথে অটল থাকার তৌফিক দেন, আর আমার জীবন যেন একদিন মানুষের মুক্তির সংগ্রামে বিজয়ের অংশ হয়।