‘এসব উপদেষ্টা প্রভুদের দেওয়া ওয়াদা রক্ষা করতে চায়’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৫, ১১:২৪ AM , আপডেট: ২৩ মে ২০২৫, ০৭:১৮ PM
এক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পারফরম্যান্স, আন্তর্জাতিক ইমেজ দিয়ে সবকিছুর পরিবর্তন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। এ ছাড়া ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার সঙ্গে যোগ্য লোককে নেননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
শুক্রবার (২৩ মে) সকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
পোস্টে রাশেদ লেখেন, ‘মূল ঝামেলা বেঁধেছে মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে! এই দুটো বিদেশিদের দেওয়ার জন্য একমত হয়ে যান, উপদেষ্টা পরিষদ বাগবাকুম করতে থাকবে। প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে বিদেশনির্ভর এসব উপদেষ্টা নিজেদের প্রভুদের দেওয়া ওয়াদা রক্ষা করতে চায়। মূলত এভাবে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে। দেশের সিকিউরিটি থ্রেট তাদের কাছে মুখ্য বিষয় না, এনজিও চালিয়ে পয়সাপাতি কামানোই তাদের কাছে মুখ্য বিষয়।’
রাজনৈতিক সংলাপ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘১০ মাসেও সরকার যদি কোনো সংস্কার করতে না পারে, সেই ব্যর্থতা কার? সংস্কার কি কোনো পুঁথিগত আলাপ দিয়ে সম্ভব? এইজন্য দরকার সকল দলের অংশগ্রহণে ঘন ঘন রাজনৈতিক সংলাপ। কিন্তু সেটি করা হয় না। এখন পর্যন্ত দলগুলোকে নিয়ে একটেবিলে বসে মন খুলে কোনো আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নামেমাত্র ইস্যুভিত্তিক ২টা সংলাপ ডেকেছে, প্রতিটা দলের ১ জন করে ২-৩ মিনিট কথা বলার সুযোগ পেয়েছে। সেটাও আবার সংস্কারের জন্য সংলাপ নয়। ১০ মাসেও যদি রাজনৈতিক দলগুলোর একটেবিলে বসিয়ে সময় নিয়ে আলোচনার করার উদ্যোগ তারা না নেয়, ঐকমত্য কি আপনাআপনি হয়ে যাবে?’
ড. ইউনূসের দুর্বলতা উল্লেখ করে রাশেদ বলেন, ‘সবকিছু আবেগ দিয়ে হয় না, বাস্তবায়নের জন্য যোগ্য লোকের প্রয়োজন হয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের সবথেকে বড় দুর্বলতা তার সাথে যোগ্য লোককে তিনি নেননি, ছাত্রদের পরামর্শে একদল অনাভিজ্ঞ, বিতর্কিত দিয়ে তিনি উপদেষ্টা পরিষদ গঠনে সম্মতি দিয়েছেন। আর এ জন্যই সবচেয়ে বড় সমস্যাটা হচ্ছে যে, ১০ মাসেও উপদেষ্টাদের কাজের সফলতা, রাষ্ট্র সংস্কারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ, গণহত্যার বিচারে তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।’
সংস্কার ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘এক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের পারফরম্যান্স, আন্তর্জাতিক ইমেজ দিয়ে সবকিছুর পরিবর্তন হবে না। ভাল টিম না পেলে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হওয়া যায়, কিন্তু ম্যাচ জেতা যায় না। ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের এই দুর্ভাগ্য যে, তিনি নিজে ভাল খেলতেছেন, কিন্তু ম্যাচ জেতানোর প্লেয়ার পাচ্ছেন না। এ কারণেও ১০ মাসে কোনো সংস্কার হয়নি।’