কাল পঁচিশে বৈশাখ, কবিগুরুর ১৬১তম জন্মদিন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ মে ২০২২, ০৫:৩৭ PM , আপডেট: ০৭ মে ২০২২, ০৫:৩৭ PM
আগামীকাল ২৫শে বৈশাখ। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে জন্ম নেন তিনি।
প্রথম নোবেল বিজয়ী বাঙালি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবা ছিলেন ব্রাহ্ম ধর্মগুরু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাতা সারদাসুন্দরী দেবী। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন মা-বাবার চতুর্দশ সন্তান। জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবার ছিল ব্রাহ্ম আদিধর্ম মতবাদের প্রবক্তা।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ও বিহারীলালের লেখনীর মাধ্যমে বাংলা কবিতায় আধুনিকতার সূচনা হলেও রবীন্দ্রনাথের হাতেই তা পূর্ণতা পায়। বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক ছিলেন মূলত একজন কবি। তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা তেমন একটা না থাকলেও মাত্র আট বছর বয়সে তিনি কাব্যরচনা শুরু করেন তিনি। তাঁর প্রকাশিত মৌলিক কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৫২। প্রায় দুই হাজার গান লিখেছেন, যা এখনো জয় করে চলেছে নবীন, প্রবীন সকলকেই।
কবিতা ও গান ছাড়াও তিনি ১৩টি উপন্যাস, ৯৫টি ছোটগল্প, ৩৬টি প্রবন্ধ ও গদ্যগ্রন্থ এবং ৩৮টি নাটক রচনা করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সমগ্র রচনা রবীন্দ্র রচনাবলী নামে ৩২ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তাঁর সামগ্রিক চিঠিপত্র উনিশ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।
গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান তিনি । বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের লেখা গান।
কুষ্টিয়ার শিলাইদহে জাতীয় পর্যায়ে রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী উদযাপন: আগামীকাল রবিবার তৃতীয় বারের মত বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী জাতীয় পর্যায়ে উদযাপন হতে যাচ্ছে। করোনা সংকটের কারণে গত দুই বছর উদযাপন করা হয়নি রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী। উৎসব সফল করতে কুঠিবাড়ী ও তার আঙ্গিনাকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।
প্রত্মতত্ব অধিদপ্তর, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা, সংগীতানুষ্ঠান, কবিতা আবৃতিসহ তিনদিন ব্যাপী উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আগামীকাল ২৫ বৈশাখ (৮ মে) দুপুর আড়াইটায় অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করবেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে রবীন্দ্র মঞ্চে প্যান্ডেল নির্মাণসহ সকল প্রস্তুুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বৈরি আবহাওয়ার জন্য থাকছে বাড়তি ব্যবস্থা। আগত রবীন্দ্র ভক্ত, দর্শনার্থী, অতিথিদের নিরাপত্তার জন্য নেয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। রবীন্দ্রনাথের জীবনের গুরুত্বপুর্ণ সময় কেটেছে শিলাইদহে তাই এখানকার গুরুত্ব অনেক।
ঢাবিতে আলোচনা সভা: ‘মানবতার সংকট ও রবীন্দ্রনাথ’ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে রবিবার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আলোচনা সভা, প্রবন্ধ পাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। আলোচনা সভায় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। এছাড়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগ ও নৃত্যকলা বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।