‘অন্য দেশ যখন পয়সা গুনছে, আমরা গুনছি মরদেহ’

ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনেস্কা
ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনেস্কা  © ফাইল ছবি

‘অন্য দেশ যখন পয়সা গুনছে, আমাদের গুনতে হচ্ছে মরদেহ’ যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন কতটা ক্ষতিগ্রস্ত তার এক ইঙ্গিত দিয়ে এমন বক্তব্য দিয়েছেন দেশটির ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনেস্কার। রাজধানী কিয়েভে স্থানীয় সময় রবিবার বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেন তিনি।

ওলেনা বলেন, ‘পরিস্থিতি যে খুব কঠিন, তা আমি বুঝি। যখন মহামারি চলছে, দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, তখন আমরা আক্রান্তও হলাম। দেশে সবকিছুর দামই বাড়ছে, এর সঙ্গে ঘটছে হত্যার ঘটনা।

‘আসলে তোমরা যখন ব্যাংকে বা পকেটে তোমাদের পয়সা গুনছ, আমরা তখন গুনছি মরদেহ।’

২০০৩ সালে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ওলেনা জেলেনেস্কা। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর আগ পর্যন্ত অতটা পরিচিত মুখ ছিলেন না তিনি। তবে হামলা শুরুর পরপরই প্রেসিডেন্ট গোপন আশ্রয়ে গেলে দায়িত্ব নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন ফার্স্ট লেডি।

যুদ্ধ কীভাবে তাদের সংসার জীবন পাল্টে দিয়েছে তা নিয়েও কথা বলেন ওলেনা। বলেন, ‘ওর সঙ্গে দেখা হয় খুব কম। তবে কথা হয় প্রতিদিন।’ বিশ্বের কাছ থেকে আরও বেশি সমর্থন পাওয়া গেলে সংকট কমে আসত বলে মন্তব্য করেন এই ফার্স্ট লেডি।

আরও পড়ুন: আধুনিক বিজ্ঞানের প্রভাবশালী ৮ মুসলিম নারী

তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের মানুষের ওপর কী প্রভাব পড়ছে তা বাইরে থেকে বোঝাটা খুব কঠিন। তবে গল্পগুলো সবারই জানা দরকার।

‘সেই কারণে আমাদের এই গল্পগুলো বলতে হবে। শুধু বোমা ফেলার সংখ্যা নয়, অর্থ ব্যয়ের পরিমাণ নয়, মানুষের গল্প এগুলো। চারপাশে এ রকম হাজার হাজার গল্প রয়েছে।’

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন। এর পর থেকেই পশ্চিমাদের বাধা উপেক্ষা করে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে চলছে রুশ সেনাদের সামরিক অভিযান।

ইউক্রেনকে ‘অসামরিকায়ন’ ও ‘নাৎসিমুক্তকরণ’ এবং দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রুশ ভাষাভাষী বাসিন্দাদের রক্ষা করার জন্যই এমন সামরিক পদক্ষেপ বলে দাবি করে আসছে রাশিয়া। আর ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে। যুদ্ধে বহু মানুষ হয়েছে বাস্তুচ্যুত। হতাহতের সংখ্যাও অনেক। এরই মধ্যে কয়েক দফা যুদ্ধ বন্ধ নিয়ে চুক্তি হলেও কার্যত কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি এখনও।


সর্বশেষ সংবাদ