পাঠ্যবইয়ে পণপ্রথার উপকারিতা, কুৎসিত মেয়েদেরও বিয়ে দেয়া যায়!

ভারতে পণপ্রথা
ভারতে পণপ্রথা  © সংগৃহীত

ভারতে পাঠ্যবইয়ে পণপ্রথার উপকারিতা প্রচার করা হচ্ছে। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। ইতোমধ্যে পাঠ্যবইয়ের স্ক্রীণশটও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। খবর আজকালের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নার্সিং প্রশিক্ষণের সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে পণপ্রথার চারটি উপকারিতার কথা লেখা রয়েছে। পণপ্রথার পক্ষে যুক্তিও তুলে ধরা হয়েছে ওই লেখায়। বইটির লেখক টি কে ইন্দ্রাণী। বইয়ের ওই পাতার ছবি ভাইরাল হয়েছে। বইয়ের ছবি দিয়ে টুইট করেছেন শিবসেনার সংসদ সদস্য প্রিয়াঙ্কা চর্তুবেদি। তিনি কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দু প্রধানকেও ট্যাগ করেছেন। তিনি লিখেছেন, এই ধরনের বই লজ্জাজনক। বইয়ের সার্কুলেশন এখনই বন্ধ করতে হবে।

বইয়ে পণপ্রথার চারটি উপকারিতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো- ১. পণ বাবদ যেসব আসবাব, বাসন, টিভি, ফ্রিজ, জামা কাপড় পাওয়া যা, তা নতুন সংসারের জন্য দরকারি। ২. বাবা-মার সম্পত্তির একটি অংশই পণ হিসেবে পান কনে। ৩. এই পণপ্রথার কারণে অনেক বাবা-মা মেয়েকে পড়াশোনা করাচ্ছেন। যেন মেয়ে শিক্ষিত হলে বা চাকরি করলে পণের অঙ্ক কম হয়। ৪. এই পণের জন্য অনায়াসে দেখতে ‘‌কুৎসিত’‌ মেয়েদের বিয়ে দেওয়া সহজ হয়।

আরও পড়ুন- লেবাননকে দেউলিয়া ঘোষণা

একসময় ভারতে পণপ্রথা সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়। পরে সরকারি পর্যায় থেকে এমন অমানবিক প্রথা বিলোপে উদ্যোগ নেয়া হয়। ১৯৬১ সালে আইনও করা হয়। কিন্তু আইনের ফাঁকফোকর থাকায় সমাজের বেশি উপকার হয়নি।

পাঠ্যবইয়ে পণপ্রথার এমন প্রচারণায় বিরক্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারা বলছেন, এটি দেশ ও সংবিধান বিরোধী। দ্রুত সময়ের মধ্যে বইটি বাজার থেকে উঠিয়ে নেয়ার দাবি করেন তারা।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence