‘কোচিং ফার্মে’ চাকরি নিলেন প্রিন্স হ্যারি
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২১, ০৯:৪২ AM , আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২১, ০৯:৪২ AM
রাজপরিবার ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করা ডিউক অব সাসেক্স হ্যারি এবার সেখানে একটি চাকরিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কোচিং অ্যান্ড মেন্টাল হেলথ ফার্ম ‘বেটারআপ’-এ চীফ ইমপ্যাক্ট অফিসার হিসেবে কাজ করবেন তিনি।
প্রিন্স হ্যারি নিজেই এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
সান ফ্যান্সিস্কোতে উপস্থিত প্রতিষ্ঠানটির হেডকোয়ার্টারে বসবেন প্রিন্স হ্যারি। তবে তিনি সেখানে কতটা সময় দেবেন, কী পরিমাণ পারিশ্রমিক পাবেন এবং তার কাজ কী হবে তা বিস্তারিত জানা যায়নি।
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মোবাইল-ভিত্তিক পেশাদার কোচিং, কাউন্সেলিং এবং পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান ‘বেটারআপ’। ৬৬টি দেশে ৪৯টি ভাষায় তাদের কার্যক্রম চলছে।
‘বেটারআপ’ প্রিন্স হ্যারিকে তাদের প্রতিষ্ঠানে যে পোস্টে বসাতে যাচ্ছে; সেই পোস্ট কর্পোরেট দুনিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোতে খুবই কম দেখা যায়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালে এমন পোস্ট রয়েছে।
প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল দম্পতি রাজকাজ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন এক বছর আগে। রাজপরিবারের কারও সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে তাদের নেওয়া এ সিদ্ধান্তে ঝাঁকুনি খেয়েছিল ব্রিটিশ রাজপরিবার।
হ্যারি ও মেগান জানিয়ে দেন, তারা আর কখনো রাজদায়িত্বে ফিরছেন না। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ডিউক অব সাসেক্স ও ডাচেস অব সাসেক্সকে তাদের রাজকীয় উপাধি এবং রাজপরিবার থেকে পাওয়া সুযোগ-সুবিধা ত্যাগ করার নির্দেশ দেন।
রাজকীয় দায়িত্ব ছাড়ার পর গত বছর হ্যারি ও মেগান যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে চলে যান। এরপর থেকে এক নতুন জীবন শুরু করেছেন এ দম্পতি।
মার্কিন উপস্থাপক অপরাহ্ উইনফ্রের কাছে দেওয়া মেগানের এক সাক্ষাৎকার সম্প্রতি নতুন করে তারা আলোচনায় আসেন। এতে হ্যারি-মেগানের ছেলে অর্চির গায়ের রঙ ফর্সা না কালো হবে তা নিয়ে রাজপরিবার প্রশ্ন তুলেছিল বলে দাবি মেগানের।
হ্যারি-মেগান দম্পতির এক বছর বয়সী ছেলে অর্চি ব্রিটিশ সিংহাসনের সপ্তম উত্তরাধিকারী এবং রানি এলিজাবেথের অষ্টম পুতি। সাক্ষাৎকারে মেগান রাজপরিবারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগও তুলেছেন। রাজপরিবার থেকে পাওয়া বৈষম্য তাকে আত্মহত্যার জন্য প্ররোচিত করেছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
৩৯ বছর বয়সী মেগানের মা কৃষ্ণাঙ্গ এবং বাবা শেতাঙ্গ। রাজপরিবারে বিয়ে হওয়ার আগে তিনি বেশ সাধারণ মানুষ ছিলেন। তবে বিয়ের পরই তার জীবনের অনেক কিছুই পাল্টে যায়। অনেক কথা শুনতে হয়েছে।
মেগান জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে; আত্মহত্যা কিংবা নিজের ক্ষতি করার কথা ভাবতে থাকেন তিনি।