ইংরেজিকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভাষা ঘোষণা ট্রাম্পের

ডোনাল্ড ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প  © সংগৃহীত

ইংরেজিকে যুক্তরাষ্ট্রের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় শনিবার (১ মার্চ) এ ঘোষণা দেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এ পদক্ষেপ এমন একটি দেশে ঐক্য ও সংহতি আনবে, যেখানে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশ থেকে অভিবাসীরা এসে বসবাস করছে।

হোয়াইট হাউস প্রকাশিত ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ইংরেজিকে ঘোষণা করার সময় ‘অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে’।

নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘জাতীয়ভাবে স্বীকৃত একটি ভাষা একটি ঐক্যবদ্ধ ও সংহত সমাজের মূল ভিত্তি এবং যুক্তরাষ্ট্র নাগরিক সমাজের মাধ্যমে শক্তিশালী, যেখানে জনগণ একটি অভিন্ন ভাষায় স্বাধীনভাবে মতবিনিময় করতে পারে।

এই আদেশের মাধ্যমে বিংশ শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের আমলে জারি করা এক নির্দেশ বাতিল করা হয়েছে। ওই নির্দেশনায় ফেডারেল সংস্থাগুলো ও ফেডারেল তহবিলপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোকে ইংরেজি ব্যতীত অন্য ভাষাভাষী মানুষদের সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

এখন নতুন নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, সংস্থাগুলোর জন্য অন্যান্য ভাষায় সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে কিছুটা স্বাধীনতা রাখা হয়েছে। নির্বাহী আদেশে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ‘এই আদেশ...কোনো সংস্থার সেবাদানে কোনো পরিবর্তন আনতে বাধ্য করে না বা নির্দেশ দেয় না।

এ ছাড়া সংস্থাগুলোর প্রধানরা তাদের নিজ নিজ সংস্থার লক্ষ্য পূরণ ও জনগণের জন্য সরকারি সেবা কার্যকরভাবে নিশ্চিত করতে কী প্রয়োজন তা নির্ধারণের ক্ষমতা পাবেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম কয়েক সপ্তাহে একাধিক নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন, যার মাধ্যমে তিনি দেশে তার ডানপন্থী নীতির প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করছেন। তবে তার অনেক আদেশ আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে, বিশেষ করে যেগুলোতে কংগ্রেস অনুমোদিত ফেডারেল তহবিল বাতিল করার চেষ্টা করা হয়েছে।

হোয়াইট হাউস স্বীকার করেছে, যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫০টিরও বেশি ভাষায় কথা বলা হয়।

তবে নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, ‘আমাদের প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ইংরেজি আমাদের দেশের ভাষা হিসেবে ছিল। আমাদের ঐতিহাসিক শাসনসংক্রান্ত নথিগুলো, যার মধ্যে স্বাধীনতার ঘোষণা ও সংবিধান অন্তর্ভুক্ত, সবই ইংরেজিতে লেখা হয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ২০১৯ সালের পরিসংখ্যান অনুসারে, প্রায় ছয় কোটি ৮০ লাখ মানুষ ইংরেজি ব্যতীত অন্য ভাষায় কথা বলে। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভাষা ইংরেজি, তবে প্রায় চার কোটিরও বেশি মানুষ ঘরে স্প্যানিশ ভাষায় কথা বলে বলে ‍ধারনা করা হয়। চীনা ও ভিয়েতনামি ভাষাভাষী অভিবাসী গোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের জটিল ভাষাগত বৈচিত্র্যের মধ্যে বহু আদিবাসী ভাষাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। [সূত্র : এএফপি]


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence