দ্রুততম পদ্ধতিতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা ইরানের

ইরানের একটি ক্ষেপণাস্ত্র
ইরানের একটি ক্ষেপণাস্ত্র  © সংগৃহীত

ইরানের এক গোপন বৈজ্ঞানিক দল  দ্রুততর পদ্ধতির মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার সাম্প্রতিক এক মূল্যায়নে এ তথ্য উঠে এসেছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ সম্পর্কিত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা হয় বাইডেন প্রশাসনের শেষ সময়ে। পরবর্তীতে ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে তা হস্তান্তর করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন গোয়েন্দা মূল্যায়নে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, ইরান সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের ক্রমবর্ধমান মজুত কাজে লাগিয়ে এক বছরের বেশি সময় না নিয়ে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চাচ্ছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এখনো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি। কিন্তু সাম্প্রতিক মূল্যায়নে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের নীতিনির্ধারকদের মধ্যে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব আগের তুলনায় দুর্বল হওয়ায় দেশটি পারমাণবিক অস্ত্রকে ডিটারেন্ট বা কৌশলগত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেখছে বলে অনেকে মনে করছেন।

নতুন গোয়েন্দা তথ্যের পর কিছু মার্কিন কর্মকর্তা মনে করছেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্রের সক্ষমতা অর্জনকে এখন জরুরি বলে বিবেচনা করছে। দেশটি যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চাইছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইরান যতটা পরিমাণ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সংগ্রহ করেছে, তা দিয়ে একাধিক পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব হলেও কার্যকরভাবে যুদ্ধের জন্য উপযোগী একটি ‘ওয়ারহেড’ তৈরি করা এখনো জটিল ও সময়সাপেক্ষ।

এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যে এ ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হতে পারে। আজ মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, সেখানে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে আলোচনায় আসতে পারে।

ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও ট্রাম্প কূটনৈতিক সমাধানকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পক্ষে। তিনি আগেও বলেছেন, ‘আশা করি, এটি এমনভাবে মীমাংসা হবে যাতে উদ্বেগের কিছু না থাকে। সত্যি বলতে, এটি আরও এগিয়ে যাওয়ার আগেই সমাধান হলে ভালো হয়।’

তবে নতুন গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, ইরান বর্তমানে একটি সাধারণ পারমাণবিক ডিভাইস তৈরির সক্ষমতা অর্জন করেছে। যদিও এটি ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে বহনযোগ্য নয়, বরং এটি ডিটারেন্ট বা প্রতিরোধমূলক অস্ত্র হিসেবেই ব্যবহারের সম্ভাবনা বেশি।

ইরান বহুদিন ধরে দাবি করে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি কেবল বেসামরিক ব্যবহারের জন্য। তবে ২০১৮ সালে ইসরায়েলের একটি অভিযানে ইরানের পারমাণবিক নথি উদ্ধারের পর দেশটির প্রকৃত অভিপ্রায় নিয়ে আরও সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। নতুন গোয়েন্দা তথ্য সেই সন্দেহ আরও বাড়িয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।

 


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence