মণিপুরে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ বহাল, বন্ধ মোবাইল ইন্টারনেট

মণিপুর
মণিপুর   © সংগৃহীত

ভারতের মণিপুরের পাঁচ জেলায় তিন দিন আগে জারি করা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিতাদেশ বৃহস্পতিবার প্রত্যাহার করেছে রাজ্য সরকার। তবে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা স্থগিত রেখে ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম ও থোবাল জেলায় অনির্দিষ্টকালের কারফিউ বহাল রয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য স্ক্রল এ খবর জানিয়েছে।

ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম, কাকচিং, থোবাল ও বিষ্ণুপুর জেলায় ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পুনর্বহাল করা হয়েছে। তবে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) এখনও বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন: ভারতীয় পতাকা নামিয়ে মণিপুরে সেভেন সিস্টার্সের পতাকা 

মণিপুরের স্বরাষ্ট্র বিভাগ জানিয়েছে, ইন্টারনেট স্থগিতাদেশের কারণে অফিস, দূরবর্তী কর্মী, স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র এবং নাগরিকদের ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছিল। যার ফলে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম ও থোবাল জেলায় অনির্দিষ্টকালের কারফিউ বহাল থাকবে।মঙ্গলবার হাজারো শিক্ষার্থী রাজ্য সচিবালয় এবং রাজ ভবনের সামনে সাম্প্রতিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে জড়ো হলে ইন্টারনেট সেবা স্থগিত করা হয়েছিল। ওই প্রতিবাদ সহিংস রূপ নেয় এবং ৩৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া সাত শিশুকে আটক করা হয়েছে।

২০২৩ সালের মে মাস থেকে মণিপুরে মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সংঘাত চলমান রয়েছে। এ পর্যন্ত অন্তত ২৩৭ জন নিহত এবং ৫৯ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ভোরে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা মণিপুরের জিরিবাম জেলায় একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ করেছে। তবে ওই সময় কেন্দ্রটিতে কেউ না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। জিরিবাম জুন মাস পর্যন্ত জাতিগত সহিংসতা থেকে মুক্ত ছিল। কিন্তু ৫৯ বছর বয়সী এক মেইতেই ব্যক্তির হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সেখানে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ৭ সেপ্টেম্বর মেইতেই ও কুকি গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলিতে অন্তত সাত জন নিহত হয়।


সর্বশেষ সংবাদ