৩০০ নম্বরের পরীক্ষা দিয়ে ৩৩০ পেলেন পরীক্ষার্থী

ভারতে পরীক্ষায় অস্বাভাবিক নম্বর পাওয়া নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়েছে
ভারতে পরীক্ষায় অস্বাভাবিক নম্বর পাওয়া নিয়ে আলোচনা তৈরি হয়েছে  © আনন্দবাজার

পরীক্ষার ফল দেখে পরীক্ষার্থীদের চোখ কপালে। সন্তানের নম্বর দেখে ভিরমি খাওয়ার জোগাড় বাবা-মারও। কারণ পরীক্ষায় যে মোট নম্বরের বেশি পেয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। ভারতের কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর একটি নার্সিং কলেজে এ ঘটনা ঘটেছে।

গত জানুয়ারি মাসে রাজীব গান্ধী ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সেস্ প্রতিষ্ঠানে বিএসসি নার্সিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার্থীদের দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা হয়। সদ্য এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষার পূর্ণমান ছিল ৩০০। তবে ফলাফলে দেখা যায়, কোনও পরীক্ষার্থী পেয়েছেন ৩০০ এর মধ্যে ৩১০। কেউ ৩১৫। আবার কেউ ৩৩০ পেয়েছেন।

কয়েক জন পরীক্ষার্থীর এ নম্বর নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে কর্তৃপক্ষ। তড়িঘড়ি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফল প্রত্যাহার করে নিয়েছে। দুঃখ প্রকাশ করে তাঁরা জানিয়েছে, নতুন করে খাতা দেখা হচ্ছে। এমন নম্বর পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। নিজের নম্বর দেখে হাসতে হাসতে এক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘বেশ মজার কিন্তু! আমি ৩০০ এর মধ্যে ৩১৫ পেয়েছি।’

কীভাবে এমন ভুল হলো? এমন প্রশ্নে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রিয়াজ বাশা বলেন, ‘এটা প্রযুক্তিগত ভুল। কয়েকজনের নম্বর এদিক-ওদিক হয়েছে। কিন্তু যাঁরা কৃতকার্য হয়েছেন এবং যাঁরা অকৃতকার্য হয়েছেন, সে হিসাবে গোলমাল হয়নি।’ 

আরো পড়ুন: প্রথম পেসার হিসেবে টেস্টে ৭০০ উইকেট অ্যান্ডারসনের

তিনি বলেন, বার্ষিক পরীক্ষা থেকে এবার প্রথম সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়েছে। তাতে বেশ কিছু প্যারামিটার এদিক-ওদিক হয়েছে। যেমন, ‘ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্ট’-এর নম্বর যোগ হয়েছে লিখিত পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে। তবে ভুল যেমন হয়েছে, শিগগিরই সংশোধনও করা হয়েছে।

সংশোধনের পর দেখা যায়, ২৭৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর নম্বর হয়েছে ২২৭। তবে গ্রেডে পরিবর্তন না হওয়ায় পরীক্ষার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। খবর: আনন্দবাজার।


সর্বশেষ সংবাদ