বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের উদ্বেগ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৪২ AM , আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৪২ AM
বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বাংলাদেশের পাশাপাশি আরও ৩৯ দেশের এ মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব।
২৬ সেপ্টেম্বর ‘কো-অপারেশন উইথ ইউনাইটেড নেশনস, ইট’স রিপ্রেজেন্টেটিভস অ্যান্ড মেকানিজমস ইন দ্য ফিল্ড অব হিউম্যান রাইটস’ নামে একটি প্রবন্ধ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল (ইউএনএইচআরসি)। এ বিষয়ে ক্ষমতাবান গোষ্ঠীকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রতিশোধস্পৃহা থেকে বেরিয়ে ‘ডু নট হার্ম’ নীতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব। আগামী ৬ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই সেশন।
যে ৪০ দেশের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে, সেগুলো হলো— বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, অ্যান্ডোরা, বাহরাইন, বেলারুশ, বুরুন্ডি, ক্যামেরুন, চীন, কলম্বিয়া, কিউবা, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব (ডিআর) কঙ্গো, জিবুতি, মিশর, ফ্রান্স, গুয়েতেমালা, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, ইসরায়েল, সৌদি আরব, লিবিয়া, মালদ্বীপ, মালি, মেক্সিকো, মিয়ানমার, নিকারাগুয়া, ফিলিপাইন, কাতার, রাশিয়া, দক্ষিণ সুদান, তানজানিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভিয়েতনাম, ভেনিজুয়েলা, ইয়েমেন এবং ফিলিস্তিন।
২০২২ সালের শুরু থেকে ২০২৩ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সংগ্রহ করা বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ইউএনএইচআরসির ওই প্রতিবেদনে ৪০ দেশের অন্তত ২২০ ব্যক্তি ও ২৫ প্রতিষ্ঠান সরকার এবং প্রভাবশালী গোষ্ঠীর লাগাতার হয়রানি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রতিশোধপরায়ণতার শিকারের বিষয়ে বলা হয়েছে।
এই প্রতিবেদনের প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, সব রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন ও প্রতিশোধমূলক তৎপরতা রুখতে যে কোন পদক্ষেপ নিতে জাতিসংঘ প্রতিস্রুতিবদ্ধ। ভিন্নমতের মানুষদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও উৎপীড়নের ব্যাপারে জাতিসংঘ জিরো-টলারেন্স নীতি মেনে চলে। সেই সাথে জাতিসংঘ মনে করে, আলাপ-আলোচনা ও সংলাপের ভিত্তিতে সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব। এজন্য সদস্যদেশগুলোকে আরও গণতান্ত্রিক করে তুলতে আমাদের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ‘ আমরা প্রতিশোধমূলক মামলাগুলোর প্রতি প্রতিক্রিয়া আরও বাড়াবো এবং প্রতিবেদনগুলোতে এ ধরনের ঘটনা শনাক্তপূর্বক নথিপত্র উপস্থাপন করবো।
এর আগে প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইউএনএইচআরসির প্রধান ও জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ইলেজ ব্র্যান্ডস কেহরিস বলেন, বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে উৎপীড়নের শিকার ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগুলোর সঠিক সংখ্যা তুলে আনতে না পারায় বাস্তবে এই সংখ্যা আরও অনেক বেশি। আমাদের নানামুখী প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্র ও প্রভাবশালী গোষ্ঠীগুলোর প্রতিশোধমূলক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
সূত্র: এএফপি