বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মুরগি ২১ বছরের পিনাট
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৫৯ PM , আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:১০ PM
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের চেলসি শহরে বসবাসরত মার্সি পার্কার ডারউইন ও তার স্বামী বিল একটি নো-কিল খামারের মালিক। তাদের খামারে কুকুর, বিড়াল, মুরগি, ময়ূর ও হাঁসসহ নানা পাখি রয়েছে সেখানে। চলতি বছরের মে মাসে ডারউইন ও তার পরিবার তাদের পোষা মুরগি পিনাটের ২১তম জন্মদিন পালন করেছেন।
সম্প্রতি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস পিনাটকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক জীবিত মুরগি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। পিনাটের বিশ্বরেকর্ডের মালিক হওয়ার যাত্রা শুরু হয় ২০২২ সালের বসন্তে, যখন ডারউইনের বন্ধু টড গিলিহান তাকে গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদনপত্র জমা দিতে বলেন।
পোষা মুরগি পিনাটের অনেক ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি হয়েছে। তবে এখন সে থাকছে তার ১৫ বছর বয়সী মেয়ে মিলির সঙ্গে। পিনাট ৮ বছর পর্যন্ত ডিম দিয়েছে। যেখানে সাধারণ একটি মুরগি ৫ থেকে ১০ বছর বাঁচে, সেখানে পিনাটের জীবন দ্বিগুণেরও বেশি দীর্ঘ। ডারউইন পিনাটের খাবারের তালিকায় রাখেন তাজা সবজি, ফল, দই, ভিটামিন ডি ট্যাবলেট, পরিষ্কার পানি। কৃমি মোকাবিলায় খাবারে দেয়া হয় আপেল সিডার ভিনেগার।
ডারউইন তার মুরগিগুলোর দীর্ঘ জীবন বাঁচার রহস্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সবসময় তাজা খাবার মুরগিগুলোকে সুস্থ রেখেছে। এছাড়া পর্যাপ্ত ব্যায়াম অর্থাৎ হাঁটা-চলা করাতে হবে তাদের। পিনাট খুবই স্মার্ট ও সাহসী একটা মুরগি।
২১ বছর আগে এক দিন মুরগির যে ডিমগুলো ফুটে বাচ্চা হওয়ার কথা ছিল তার মধ্যে একটি ডিম দেখে তার মনে হয়েছিল এটি পচা-যে কারণে মা মুরগি ওই ডিমটি ফেলে চলে গিয়েছিল। ডারউইন ডিমটি হাতে নিয়ে কচ্ছপদের খাওয়ার জন্য পুকুরে ফেলে দিতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু ঠিক তখনই ভেতর থেকে ক্ষীণ কিচিরমিচির আওয়াজ শুনতে পান।
এরপর ডারউইন ভালোভাবে ডিমটির দিকে তাকান এবং ডিমের খোসার ওপর খুবই হালকা একটা ফাটলের দাগ দেখা যাচ্ছে দেখে তিনি সাবধানে ডিমের খোলস ভেঙে বাচ্চাটাকে বের করে আনেন। ডারউইন মুরগির বাচ্চাটাকে তার মায়ের কাছে রাখালেও মা মুরগিটি তাকে নেয় নি। তাই তিনি বাচ্চাটাকে বাড়িতে নিয়ে হিট ল্যাম্পের নিচে রাখেন এবং ধীরে ধীরে খাবার ও পানি খাওয়া শেখাতে লাগলেন। এরপর সেই বাদামি রঙের মুরগির বাচ্চাটার নাম দেন ‘পিনাট’।
তারপর কেটে গেছে ২০টি বছর। ডিমের খোসা ভেঙে বের করে আনা বাচ্চাটা এখনও ডারউইনের লিভিংরুমে হেঁটে বেড়ায়, কখনও বা তার কোলে এসে বসে। তার এই আদরের ব্যানটাম মুরগি এখন একটি বিশ্বরেকর্ডেরও মালিক। ডারউইন এখনও বিশ্বাস করতে পারেন না যে, সেদিনের সেই ছোট্ট বাচ্চাটা এখন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মুরগি।