সরকারি ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ বাংলাদেশির ‘তথ্য ফাঁস’

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি  © ফাইল ফটো

বাংলাদেশ সরকারের একটি ওয়েবসাইট থেকে নাগরিকদের নাম, ফোন নম্বর, ইমেইল ঠিকানা এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরসহ লাখ লাখ ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অনলাইন বার্তাসংস্থা টেকক্রাঞ্চ। 

গত ২৭ জুন ফাঁস হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকদের তথ্যগুলো দেখতে পান মারকোপাওলোস। এর কিছুক্ষণ পরেই বাংলাদেশ সরকারের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের (বিজিডি ই-গভ সার্ট) সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। এ ঘটনায় বাংলাদেশের লাখ লাখ নাগরিকের তথ্য ফাঁস হয়েছে বলে জানিয়েছেন মারকোপাওলোস।

গবেষক ভিক্টর মার্কোপোলোস বলেছেন, তিনি ঘটনাক্রমে গত ২৭ জুন বিষয়টি লক্ষ করেন এবং কিছুক্ষণ পরেই বাংলাদেশি ই-গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁর ভাষ্যমতে, ফাঁসের মধ্যে লাখ লাখ বাংলাদেশি নাগরিকের তথ্য রয়েছে। 

টেকক্রাঞ্চ বলছে, বাংলাদেশ সরকারের ওই ওয়েবসাইটে ‘পাবলিক সার্চ টুল’ ব্যবহার করে ফাঁস হওয়া ডেটা বৈধ কি না, তা যাচাই করেছে। এতে ওয়েবসাইটটি ফাঁস হওয়া ডেটাবেইসে থাকা অন্যান্য ডেটাও দিয়েছে। এসব তথ্যর মধ্য রয়েছে নিবন্ধনের জন্য আবেদনকারীর নাম ও কিছু ক্ষেত্রে পিতা-মাতার নামও। এভাবে ১০টি ভিন্ন উপায়ে পরীক্ষা চালিয়েছে টেকক্রাঞ্চ এবং প্রতিবারই সব তথ্য পেয়েছে। 

তবে ফাঁস হওয়া তথ্যগুলো এখনও অনলাইনে থাকায় সেই সরকারি ওয়েবসাইটির নাম জানায়নি টেকক্রাঞ্চ।

মার্কোপোলোস জানায়, “এই তথ্য ফাঁসের খবর আমরা কোন বাংলাদেশী সরকারী সংস্থার কাছ থেকে শুনতে পাইনি। তবে এই তথ্য ফাঁসের সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য ইমেইল করেছি।“

তিনি আরও বলেন, এই তথ্যগুলো খোঁজার কোনো চেষ্টা তিনি করেননি। গুগলে সার্চ করার সময় ফাঁস হওয়া তথ্যগুলো আপনা আপনিই হাজির হয়েছে। তথ্যগুলো খুব সহজেই পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান মার্কোপোলোস।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই বিষয়ে বাংলাদেশের সিইআরটি, সরকারের প্রেস অফিস, ওয়াশিংটন ডিসিতে দেশটির দূতাবাস এবং নিউইয়র্ক সিটিতে তাদের কনস্যুলেটে এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

মারকোপাওলোস মনে করেন, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনে ঢোকা, অ্যাপ্লিকেশনগুলো মডিফাই বা ডিলিট করাসহ জন্মনিবন্ধনের রেকর্ড যাচাই করতে ফাঁস হওয়া এ তথ্যগুলো ব্যবহারের ঝুঁকি রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ