পরীক্ষায় শূন্য পেলেও ৫৮ বানিয়ে দেওয়া হয়েছে চাকরি!
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৩, ০৯:৪৪ AM , আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৩, ০৯:৪৪ AM
উত্তরপত্রে প্রার্থী পেয়েছেন শূন্য। অথচ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) সার্ভারে নম্বর হয়ে গেছে ৫৮! কোথাও ১ নম্বর পেলেও তা হয়ে গেছে ৫৪! ভারতের কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে সোমবার গ্রুপ-সি পদের নিয়োগে তিন হাজার ৪৭৮ জনের নম্বরের ফারাকের তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানেই এমন তথ্য উঠে এসেছে।
তবে তালিকায় ৮৬ জন প্রার্থীর উত্তরপত্রে প্রাপ্ত নম্বর থেকে সার্ভারে কমে গিয়েছে। সে ফারাক ১ থেকে ১১ নম্বর পর্যন্ত। টাকার বিনিময়ে নম্বর বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু নম্বর কমে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে, অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দিতেই যোগ্যদের নম্বর কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল?
তালিকা দেখে অনেকেই বলছেন, নিয়োগে সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে, তার সপক্ষে তালিকা যথেষ্ট প্রমাণ। নম্বর বৃদ্ধির তালিকায় তৃণমূল নেতানেত্রী বা তাঁদের আত্মীয়দের উপস্থিতিও আছে।এক জেলা স্তরের তৃণমূল নেত্রী ১ নম্বর পেলেও তা বেড়ে ৫৪ হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার এক নেত্রী খাতায় ০ পেয়েও সার্ভারে পেয়েছেন ৫৪।
শালবনির বিধায়কের ভাই খোকন মাহাতোর নম্বর ১২ বেড়ে ৫৫ হয়েছে। একদা গ্রাম রোজগার সেবক খোকন পাঁচ বছর আগে সরকারি চাকরি পান। তিনি তালিকা না দেখে নম্বর বৃদ্ধির বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। এসএসসি’র কর্তারা বলছেন, ঘটনার সময় আমাদের দায়িত্ব ছিল না। কী ভাবে কী হয়েছিল সে বিষয়ে বলা সম্ভব নয়।
গত শুক্রবার এসএসসি গ্রুপ-সি নিয়োগের দু’টি তালিকা প্রকাশ করে। তালিকা অনুযায়ী, ৫৭ জন সুপারিশ ছাড়াই স্কুলে নিয়োগপত্র পেয়ে চাকরি করছেন। তাদের চাকরি সরাসরি বাতিল করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ৭৮৫ জনের উত্তরপত্রে (ওএমআর শিট) নম্বর বাড়ানো হয়েছিল। তাদের চাকরির সুপারিশ বাতিল করে এসএসসি। এর ভিত্তিতে নিয়োগ বাতিল করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
তবে চাকরি খোয়ানো কর্মীরা আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে চান। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের বিরুদ্ধে তাঁরা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছেন। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ মামলার অনুমতি দিয়েছে। চলতি সপ্তাহে এর শুনানির সম্ভাবনা আছে।
এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ওএমআর শিট খুঁটিয়ে দেখে মূল্যায়ন করেছি। তিন হাজার ৪৭৮ জনের মধ্যে তিন হাজার ৩০ জনের নম্বর বেড়েছে। ৮৬ জনের কমেছে। ৩৬২ জনের অপরিবর্তিত। চাকরি বাতিল হওয়া ৮৪২ জনের মধ্যে ৭৮৫ জন সুপারিশ পেয়েছিলেন। ৮৫১ জন রয়েছেন অপেক্ষমাণ তালিকায়।