চাকরি ফিরে পেতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত এসআইদের সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন  © সংগৃহীত

পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণকালীন সময়ে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে চাকরি হারানো শিক্ষানবিশ উপপরিদর্শকেরা (এসআই) আজ মঙ্গলবার (৬ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে আয়োজিত এই সম্মেলনে তারা তাদের প্রতি নেওয়া প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গভীর হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহীর সারদায় অবস্থিত বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ শেষ করে থানায় পদায়নের কয়েক দিন আগে ৪০তম ব্যাচের ৩২১ জন এসআইকে চার ধাপে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে আনিত শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগকে মিথ্যা ও সাজানো দাবি করেছেন এসআইরা। তাদের ভাষায়, একাডেমির ১১৩ বছরের ইতিহাসে এত বড় সংখ্যক প্রশিক্ষণার্থীদের একসঙ্গে অব্যাহতির ঘটনা নজিরবিহীন ও অমানবিক।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অব্যাহতিপ্রাপ্ত শিক্ষানবিশ এসআই দীপিকা চক্রবর্তী। তিনি জানান, নিয়োগপ্রক্রিয়ার সব ধাপ অতিক্রম করে ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর ৪০তম ব্যাচের সদস্যরা এক বছরের প্রশিক্ষণে অংশ নেন। এই প্রক্রিয়াটি ছিল ‘নকআউট’ পদ্ধতির—একটি ধাপে বাদ পড়লে পরবর্তী ধাপে উত্তীর্ণ হওয়ার সুযোগ ছিল না। কঠোর প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে তারা চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন।

বক্তব্যে বলা হয়, প্রশিক্ষণ শেষে থানায় পদায়নের প্রাক্কালে শুরু হয় শোকজ নোটিশ ও পরবর্তীতে অব্যাহতির প্রক্রিয়া। চাকরি হারানো এসআইদের অনেকেই সরকারি বা বেসরকারি অন্যান্য চাকরি ছেড়ে এসেছিলেন এই পেশায় যোগ দিতে। এখন তাঁরা পরিবার ও সমাজে চরম হতাশার মুখোমুখি।

পুনর্বহালের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অব্যাহতিপ্রাপ্ত এসআইরা। তারা বলেন, বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাদের চাকরিতে ফিরিয়ে আনা হোক।


সর্বশেষ সংবাদ