অত্যাচারিতের শিক্ষা হতে মুক্ত হোক প্রাণীকূল
- হাসান তৌসিফ ইকবাল
- প্রকাশ: ০৭ অক্টোবর ২০২১, ০৫:৩০ PM , আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২১, ০৫:৩০ PM
শিক্ষার উল্লেখযোগ্য উদ্দেশ্য: KAP (Knowledge, Attitude, Practice) তিনটিতে বিশেষ ও লক্ষ্যনীয় পরিবর্তন সাধন। যার ফলে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র দীর্ঘমেয়াদে এর সুফল পাবে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায়ও সেসব উন্নীতকরণে ইনফরমেশন-নলেজ-স্কিল এই তিনটির উপর জোর দিয়ে কারিকুলাম প্রণীত হয়।
যদিও সত্যিকার অর্থে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষার কোন পর্যায়েই এদেশে কারিকুলাম সেভাবে নেই। যেটি আছে এর নাম সিলেবাস আর সেটি শেষ করার জন্যে আছে গৎবাধা রুটিন। আমাদের কাছে সুপরিচিত সেসব নাম।এসব পথপ্রক্রিয়ায় চর্বিতচর্বণের উন্নতিকল্পে প্রাণান্ত চেষ্টায় মশগুল শিক্ষাব্যবস্থার সবচেয়ে বড় উপাদান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ।
ভারতবর্ষে শিক্ষার যাত্রাটা এরকম নয়। অনেকটা স্ব-ফর্মুলায়ই আমাদের শিখন শিক্ষণ পরিচালিত হতো। গুরুত্ব ছিল ইনসাইট-ফোরসাইট- উইসডমের প্রতি। খরস্রোতা নদীর মত ধীরে বহে এদেশে শিক্ষা। পরিবর্তনকে মেনে নেয়া কঠিন এখানে। গুরু শিষ্য পরম্পরা পদ্ধতিও অর্বাচীন নয়। ফোরসাইট বা উইসডমকে কেন্দ্রে রেখে শিক্ষা পরিকল্পনা গ্রহণ এখানে মিথের পর্যায়ে।
তবে পুরাণ মতে একজন শিক্ষক তখনই সফল যখন সে গুরু হয়ে উঠে। গুরু হতে হলে অনেক ধাপ অতিক্রম হতে হয় যেখানে শিখনের প্রক্রিয়ায়ও সংস্কার নিয়ে আসতে হয়। সেখানে শিখনের শেষ ধাপে জ্ঞানের প্রায়োগিক বিশ্লেষণ সম্পন্ন হয়।
প্রক্রিয়াগুলো হলো: প্রফেসর- উপাধ্যায়- আচার্য- পণ্ডিত- দ্রষ্টা- গুরু
আধুনিক ব্যবস্থায় শিক্ষকগণ নলেজ একোয়ারিং-এর চেয়ে নলেজ কনস্ট্রাকটিং-এর প্রতি বেশি যত্নশীল হয়ে উঠুন। পৃথিবীর সকল শিক্ষকের প্রতি শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা। প্রত্যেকটি দিনই আপনাদের হোক। অত্যাচারিতের শিক্ষা হতে মুক্ত হোক প্রাণীকূল। (লেট দেয়ার বি লাইট)
লেখক: সহকারী কমিশনার (ভূমি), মনোহরদী উপজেলা , নরসিংদী