স্বপ্নের ডাকসু: উপস্থিত-ক্ষণের মূল্যায়নে অনুমিত আগামী
- ফয়েজউল্লাহ মানিক
- প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০১৯, ০৫:৪২ PM , আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৯, ০৭:২২ PM
অনেকদিন ধরেই ভাবছি ডাকসু নিয়ে কিছু লিখব। বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে লিখা হয়ে উঠেনি। একান্ত ব্যক্তিগত কিছু মতামত সকলের সাথে শেয়ার করার প্রয়াসে যুক্তিযুক্তভাবে উপস্থাপন করার ক্ষণিক চেষ্টা করছি মাত্র। কিছু অপ্রাসঙ্গিক কিংবা অযৌক্তিক মনে হলে অবশ্যই শুধরে দেবার অনুরোধ রইল।
দীর্ঘ ২৮ বছরের বন্ধ্যত্ব কাটিয়ে বেশ দীর্ঘ কণ্টকাকীর্ণ পথ-পরিক্রমার পর নিকশ আঁধার কালো টানেলের সরু প্রান্তের শেষে এসে অবশেষে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। যা সকলের অতীব কাঙ্ক্ষিত ডাকসু নির্বাচন।
প্রথমেই আমি এই দীর্ঘ সময় পরে এসে যাদের কারণে আগামী ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, সেই রাজনৈতিক- অরাজনৈতিক ঘরানার শিক্ষার্থীদের দলটিকে, যারা ডাকসু নির্বাচন দাবী করে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। কৃতজ্ঞতা বর্তমান সরকারের প্রতি, বিশেষ করে প্রচণ্ড দূরদর্শী রাষ্ট্রপ্রধান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সমগ্র বাংলাদেশের আপামর মানুষের আস্থার সর্বশেষ আশ্রয়স্থল দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি। কারণ পূর্বাপর অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানদের মতো তিনি এই ডাকসু নির্বাচন আটকে দেবার মতো কোন অনৈতিক চাপ সৃষ্টি করেননি। ধন্যবাদ জানাতে চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিও, কারণ আদালতের অনেকটা আকস্মিক সিদ্ধান্ত হিসেবে নির্বাচনের নির্দেশনা আসলেও সর্বোচ্চ আন্তরিকতা আর দ্রুততার সাথে প্রশাসন এই নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করেছেন। সাথে সাথে এই আয়োজনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল সকল সংগঠনের মতামতকে প্রাধান্য দিয়েই সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের উপর ভিত্তি করে নির্বাচনী ইশতিহার নির্ধারণ করতে সমর্থ হয়েছেন ।
সর্বশেষ একটু বেশিই ধন্যবাদ জানাবো সরকার সমর্থিত ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নীতিনির্ধারণী মহলকে। কারণ অতীতের মতো ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠেনর ন্যায় অসহিষ্ণু আচরণ না করে বরং আদর্শিক-সহনশীল-সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক-বন্ধুভাবাপন্ন উপস্থাপনায় ভিন্ন মতের রাজনৈতিক কিংবা সাংস্কৃতিক কর্মীদের অবাধ বিচরণের সুযোগ করে দিয়ে উদার গণতান্ত্রিক মনোভাবের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে আজকের ছাত্রলীগ ।
এবার একটু অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন প্রসঙ্গে আসি । দুই যুগেরও অধিক সময় পর আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে যেরকম উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে তা এক কথায় অনন্য। ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কর্মী হবার পরেও নির্বাচনী প্রচারণায় প্রায়শই একদলের কর্মীরা ভিন্ন মতের দলের কর্মীদের মুখোমুখি হচ্ছেন। ঠিক সেই মুহূর্তটিতে যে অসাধারণ দৃশ্যের অবতারণা হচ্ছে তা উল্লেখ করবার মতো দৃষ্টান্ত হিসেবেই প্রতীয়মান। যখন দেখা যায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব যারা ছাত্রলীগের হয়ে ভিপি/জিএস/এজিএস পদে লড়ছেন, তাদের কেউ কোনো হল সংসদে ছাত্রদল মনোনীত প্রার্থীর সাথে আলিঙ্গন করছেন আর প্রাণবন্ত হাসিমুখে পরস্পরের কুশল বিনিময় করছেন। তখন মনে হয় ছাত্র-রাজনীতি চর্চার অঙ্গনে দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত নিকশ কালো মেঘ কেটে যেতে শুরু করেছে হয়ত।
কোনো প্রার্থী ভিন্ন দলের, ভিন্ন মতের কিংবা ভিন্ন সত্তার, সে যাই হোক না কেন প্রত্যেকেই কোনোরূপ প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই প্রচারণা করছেন একেবারেই নির্বিঘ্ন ভাবে। এসব দেখে সেই সব তথাকথিত সুশীলগণ যারা প্রতিনিয়তই কেবল সম-সাময়িকতার ঋণাত্মকতা উপস্থাপনেই ব্যস্ত থাকেন আর টক-শোতে একের পর এক চায়ের কাপ ফুরোতে থাকেন, তাদের মতো সবাই হতাশ হবেন বৈকি…!
আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বেশ কয়েকটি প্যানেল। উল্লেখযোগ্য প্যানেলগুলোর মধ্যে - বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মনোনীত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) সমর্থিত প্যানেল, ছাত্র-ইউনিয়ন সমর্থিত প্যানেল, বাংলাদেশ ছাত্র-মৈত্রী সমর্থিত প্যানেল, কোটা সংস্কার আন্দোলনের আবেগকে ব্যবহার করতে সক্রিয় কতক শিক্ষার্থীর তথাকথিত ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ নামের প্যানেল, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন সমর্থিত তাদের ছাত্র শাখার একটি প্যানেল ইত্যাদি। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় কিছু সংখ্যক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকা একদল শিক্ষার্থীদেরও আলাদা একটি প্যানেল রয়েছে। বেশ কয়েকটি বাম সংগঠনের রয়েছে আংশিক প্যানেল ।
এছাড়াও রয়েছে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ভিপি, জিএস-সহ অন্যান্য অনেকগুলো পদেই স্বতন্ত্রভাবে লড়ছেন ১১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য ডাকসু নির্বাচনে। অর্থাৎ কোনোরূপ সংশয় ব্যতিরেকেই এটা নিশ্চিত যে আসন্ন ডাকসু নির্বাচনটি হতে যাচ্ছে সর্বোচ্চ অংশগ্রহণমূলক।
অনুষ্ঠিতব্য এবারের ডাকসু নির্বাচনের প্রায় শেষ মুহূর্তে এসেও এখন পর্যন্ত এমন কোনো অপ্রত্যাশিত ঘটনার অবতারণা হয়নি। যার ফলশ্রুতিতে এতটুকু প্রত্যাশা রাখাই যায় যে, আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে নূন্যতম কারচুপি হবার কিংবা অগ্রহণযোগ্য উপায়ে নির্বাচন সম্পন্ন করবার কোনোরূপ আশংকা নেই। সুতরাং এটা নির্দ্বিধায় বলাই যায়, স্বচ্ছ উপায়ে ব্যালট জবাবের মাধ্যমেই ২৮ বছরের বন্ধ্যত্ব ঘুচিয়ে পুনর্বার যোগ্য-জনপ্রিয়-কার্যকর জাতীয় নেতৃত্ব তৈরিতে উপর্যুক্ত ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে ডাকসু । বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের অতীব আকাঙ্ক্ষিত সামনের এই ডাকসু নির্বাচনটি এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা মাত্র। কেবলমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরাই যে অধীর আগ্রহে এই ডাকসু নির্বাচনের জন্য অপেক্ষমাণ মোটেও কিন্তু তা নয় ! বরং পুরো বাংলাদেশ তাকিয়ে আছে অনুষ্ঠিতব্য এই ডাকসু নির্বাচনটির দিকে।
আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থিতা করবার প্রচণ্ড ইচ্ছা থাকবার পরেও একটি ছাত্র-সংগঠনের সক্রিয় কর্মী হওয়ায় আমার মতো সংগঠন অন্তঃপ্রাণ কর্মীদের জন্য সংগঠনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচ্য এবং শিরোধার্য। ডাকসুর একজন ভোটার হিসেবে নির্বাচনী সমরে লিপ্ত প্যানেল সমূহের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করতে গেলে অনেকগুলো বিষয় স্পষ্টতই দৃশ্যমান বলে মনে হবে যে কোনো ভোটারের কাছে, এটা আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আমার কাছে বাস্তবসম্মত, যৌক্তিক এবং তুলনামূলক পর্যাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচ্য, এরকম কয়েকটি পয়েন্ট উল্লেখ করছি---
>> যে কয়টি প্যানেল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে এগুলোর মধ্যে ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ’- প্যানেলটি সর্বাপেক্ষা বৈচিত্র্যময়। কারণ এই ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ’-ই একমাত্র প্যানেল হিসেবে দৃশ্যমান, যেটি কেন্দ্রীয় সংসদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কয়টি হলে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিতে সক্ষম হয়েছে। এই প্যানেলের কেন্দ্রীয় সংসদে রয়েছে রাজনৈতিক সংগঠক, সাংস্কৃতিক সংগঠক, সামাজিক সংগঠক, বিতার্কিক, খেলাধুলায় নিপুণতার জন্য ক্যাম্পাসে ব্যাপকভাবে পরিচিত মুখ, আদিবাসী প্রতিনিধি, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী প্রতিনিধি-সহ ক্ষেত্র বিশেষে সেরা হিসেবে প্রমাণিত সব প্রার্থী। হল সংসদগুলোর ক্ষেত্রেও সম্ভবপর সর্বাধিক বৈচিত্র্য রাখবার প্রয়াস দেখিয়েছে এই ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলটি।
>> ইতোমধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আসন্ন ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক উদ্দীপনার জন্ম হয়েছে। একদিকে প্রার্থীরা যেমন নিজ নিজ সাধ্যানুযায়ী ভোটারদের নিকট পৌঁছানোর সর্বোচ্চ প্রয়াস দেখাচ্ছেন, ঠিক তেমনি ভোটাররাও প্রচণ্ড বিশ্লেষণী দৃষ্টি দিয়ে যোগ্যতম প্রার্থী খোঁজতে কার্পণ্য করছেন না।
>> বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরা নিজ নিজ সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন পছন্দের প্রার্থীর হয়ে। ভোটারদের নিকট উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন পছন্দের প্রার্থীর বিশেষ গুণগুলো কিংবা ব্যতিক্রমী কাজগুলো অথবা অর্জনগুলো মধ্যদিয়ে।
>> অধিকাংশ প্যানেলের প্রার্থী-কর্মীরা ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ’- এর ঋণাত্মক দিকগুলো খুঁজে বের করবার প্রচেষ্টায় মরিয়া হলেও, ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ’- প্যানেলের প্রার্থী-সমর্থকরা ব্যস্ত নিজেদেরকে স্ব-অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ কতটা যোগ্য-জনপ্রিয়-মার্জিত হিসেবে উপস্থাপন করা যায় ।
>> ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলের প্রার্থীগণ আরেকটি বিষয়কে বেশ গুরুত্ব দিয়ে উপস্থাপন করতে বেশ সচেষ্ট, সেটি হলো— ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ’ মনোনীত এই ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ’র কেন্দ্রীয় সংসদের শীর্ষ তিনটি পদ যথাক্রমে ভিপি-জিএস-এজিএস হিসেবে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নিজেই; সুতরাং শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কিংবা যৌক্তিক যে কোনো দাবীর পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করার কাজটি সর্বোচ্চ দ্রুততায় সম্পন্ন করতে তাদের প্যানেলটি ছাড়া আর কারোর পক্ষেই সম্ভবপর হবে না। এক্ষেত্রে এই প্যানেলটির প্রার্থী-সমর্থকদের ব্যাখ্যা হলো- ‘যদি কোনো যৌক্তিক দাবীর বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় গড়িমসি করে, তাহলে প্রয়োজনে খোদ প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন হয়ে চাপ সৃষ্টি করে তারা শিক্ষার্থীদের দাবী আদায় করে আনতে সক্ষম। কিন্তু অন্য কেউ যদি সংসদের শীর্ষ পদে নির্বাচিত হয়ে আসেন, সেক্ষেত্রে তাদের পক্ষে দ্রুততম সময়ে এটি মোটেও সম্ভবপর হবে না।’ এই দাবীটি বেশ বাস্তবসম্মত এবং যুক্তিযুক্তও বটে ।
>> নারী হলগুলোতে আসন্ন সংসদ নির্বাচন যেন আরও উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে । মেয়ে হলগুলোতে ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ’ ছাড়াও নির্বাচনী যুদ্ধে নেমেছে ছাত্র-ইউনিয়ন সমর্থিত বাম জোট। নারী হল সংসদগুলোর নির্বাচনকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক করে তুলেছে সক্রিয় রাজনীতির বাহিরে থাকা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত কিংবা নাচ-গান-খেলাধুলায় বিশেষ নৈপুণ্য দেখানো মেয়েদের যূথবদ্ধ অংশগ্রহণে গঠিত ‘স্বতন্ত্র জোট’। হলগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের ভোটের হিসাব-নিকাশ। ভোটারদের কাছে টানতে নৈমিত্তিক প্রয়াস চলছে নিত্য-নতুন সব আকর্ষণীয় ছক তৈরির।
এসবের বাহিরেও এরূপ আরোও অনেকগুলো বিষয়ই দৃষ্টিগোচর হবে উপস্থিত নির্বাচনী হাল-চাল বিশ্লেষণ করতে গেলে। ইতোমধ্যেই প্রার্থীদের মধ্যে তাদের স্ব-স্ব পদের ব্যালট নম্বর প্রদান করা হয়েছে। প্রার্থীরা ব্যস্ত স্ব-স্ব ব্যালট নম্বরটিকে ভোটারদের কাছে পরিচিত করতে। ভোটাররাও মুগ্ধ উৎসবমুখর পরিবেশের এই প্রচার-প্রচারণায়। এখন পর্যন্ত আমার কাছে মনে হয়েছে, ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলভুক্ত প্রার্থীরাই সর্বোচ্চ সরব ছিলেন নির্বাচনী প্রচারণায়। এই যূথবদ্ধ প্রচারণা সম্ভবত কাজেও এসেছে। ভোটারদের সিংহ-ভাগের সমর্থনও সম্ভবত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলের পক্ষেই আছে অনুমিত হচ্ছে আমার কাছে।
সবশেষে বলব— ‘ক্যাম্পাসে আমরা গান, প্রেম হবো, আর কিছু ঋণ হবো জারুল গাছের।’