প্যানেল নয়, দ্রুত চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির দাবি

প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করা ১৬তম নিবন্ধনধারীরা
প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করা ১৬তম নিবন্ধনধারীরা  © টিডিসি ফটো

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ না দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দাবি জানিয়েছে ‘৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী শিক্ষক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি’।

বুধবার (২৭ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে এ দাবি জানান তারা।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ইমরান বিন নূর বলেন, ২০১৯ সালে আমরা ১৬তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি। করোনার কারণে আমাাদের পরীক্ষা শেষ করতে অনেক সময় লাগে। মাত্র সাতদিনের জন্য আমরা তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে যুক্ত হতে পারিনি। তৎকালীন এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান ৬ মাসের মধ্যে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের কথা বললেও সেটি এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। 

তিনি আরও বলেন, আমরা প্যানেল চাই না। আমরা আগামী আগস্ট মাসের মধ্যে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি চাই। এখন শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। শূন্য পদের তথ্য সংগ্রহ শেষ হওয়া মাত্রই আমরা চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি চাই।

আরও পড়ুন: এমপিওভুক্তির দাবিতে মাদ্রাসা অধিদপ্তরের সামনে মাদ্রাসার ইংরেজি শিক্ষকরা

দেলোয়ার হোসেন নামে আরেক নিবন্ধনধারী বলেন, প্যানেলের মাধ্যমে যদি নিয়োগ দেওয়া হয় তাহলে প্রথম নিবন্ধন থেকে শুরু করে ১৬তম নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ দিতে কত সময় লাগবে সেটি বলা মুশকিল। যারা প্যানেলের দাবি করছে তাদের নাম্বার অনেক কম। তারা খুবই সংক্ষিপ্ত সিলেবাস পড়ে কেবলমাত্র একটি পরীক্ষার মাধ্যমে সনদ অর্জন করেছে। আমরা প্রিলি-রিটেন ও ভাইভা দিয়ে সনদ অর্জন করেছি। আমরা গত তিন বছর ধরে অপেক্ষা করছি। আমাদের প্রধান এবং একমাত্র দাবি মেধার ভিত্তিতে দ্রুত আগস্টের মধ্যে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি।

‘৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রত্যাশী শিক্ষক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি’র সহ-সভাপতি সাব্বির বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার কোনো জায়গাতে প্যানেলের ভালো দিক নেই। প্যানেলধারীরা একটি মিথ্যাচার করছে। তারা বলছে; সব বিষয় মিলে নাকি মাত্র ৩০ হাজার নিবন্ধনধারী আছে। কিন্তু আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী কেবলমাত্র ইংরেজি বিষয়ের সনদধারী রয়েছে প্রায় ২৯ হাজার।এভাবে প্রতিটি বিষয়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার করে নিবন্ধনধারী রয়েছে। তিনটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অর্ধেকের মতো নিয়োগ পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্যানেলের দাবিতে আন্দোলনরতরা ব্যাচভিত্তিক নিয়োগের দাবি তুলেছেন। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হলে যতদিন পর্যন্ত প্রথম ব্যাচের সবাইকে নিয়োগ না দেওয়া হবে ততদিন অন্য ব্যাচের নিয়োগ আটকে থাকবে। ফলে বিপুল সংখ্যক নিবন্ধনধারীকে নিয়োগ দিতে অনেক সময় লাগবে। এটি পুরোপুরি অযৌক্তিক একটি দাবি। প্যানেলের দাবিতে আন্দোলনরতদের বয়স ৪০-৫০ বছর। তারা কোনো আইন মানছে না। যা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের একটাই দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। 


সর্বশেষ সংবাদ