গণবিজ্ঞপ্তির ফল নিয়ে ফেসবুকে ছড়ানো তথ্যটি ভুয়া: এনটিআরসিএ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২১, ১২:২০ PM , আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২১, ১২:২০ PM
চলমান 'লকডাউন' শেষ না হওয়া পর্যন্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগে গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করা সম্ভব নয় বলে আবারও জানিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সচিব এটিএম মাহবুব উল করিম।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকালে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান তিনি। একইসঙ্গে 'আজ গণবিজ্ঞপ্তির ফল' মর্মে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া তথ্যকে ভুয়া দাবি করেছেন তিনি।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের একাধিক গ্রুপে আজ বৃহস্পতিবার গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করে হবে বলে খবর ছড়ানো হয়। তবে বিষয়টি সঠিক নয় বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে এনটিআরসিএ সচিব জানান, আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নিশ্চিত গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ হবে না।'
এর আগে এনটিআরসিএর ওই কর্মকর্তারা বলেন, আমরা চাইলেই গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশ করতে পারি না। আদালত যে রায় দিয়েছে সেটি কোন পয়েন্টে দিয়েছে তা আমাদের দেখতে হবে। কেননা এটা নিয়ে আবারও ঝামেলা তৈরি হতে পারে। লকডাউনের কারণে আমাদের সবকিছু থমকে আছে। লকডাউন শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুই করা সম্ভব হবে না।
তিনি আরও বলেন, আদালতের রায় পাওয়ার পর গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশে আর কোনো বাধা নেই। তবে আদালত যে রায় দিয়েছে তার কপি হাতে পাওয়ার আগে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চায় না এনটিআরসিএ। ফলে গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশে আরও দেরি হবে।
সূত্র জানায়, এই মুহূর্তে দেশে লকডাউন চলায় সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ। এনটিআরসিএর কর্মকর্তারাও অফিস করছেন না। এছাড়া ভার্চুয়ালি উচ্চ আদালত চললেও অন্যান্য সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ফলে লকডাউন শেষ না হওয়া পর্যন্ত রায়ের কপি পাওয়া সম্ভব হবে না। ফলে গণবিজ্ঞপ্তির ফলও প্রকাশ হবে না।
এনটিআরসিএর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আরো বলেন, আদালত যে রায় দিয়েছে তার কপি হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এই বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব হবে না। রায়ের কপি আমরা পর্যালোচনা করে গণবিজ্ঞপ্তির ফল প্রকাশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
উল্লেখ্য, ১-১২তম নিবন্ধন্ধারীদের কন্টেম্প মামলা খারিজের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে ফল প্রকাশের বিষয়ে আলোচনা করে এনটিআরসিএ। মন্ত্রণালয় থেকে একটি লিখিত আবেদন চাওয়া হলেও নতুন করে আপিল বিভাগের দেয়া রায়ের কপি হাতে পাওয়ার ইস্যু সামনে এনেছে এনটিআরসিএ।