বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির দাবিতে আন্দোলনে যাচ্ছেন ১৭ ও ১৮তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ আবেদনবঞ্চিতরা

সচিবালয়ের সামনে আন্দোলনরত ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও আবেদনবঞ্চিতরা
সচিবালয়ের সামনে আন্দোলনরত ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ হয়েও আবেদনবঞ্চিতরা  © ফাইল ফটো

১৭তম ও ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েও গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগবঞ্চিতরা আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন। আগামী সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সামনে সকাল ৯ টায় এ কর্মসূচি শুরু হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে আন্দোলনের ডাক দেওয়া সমন্বয়কারীদের অন্যতম ইউছুফ ইমন বলেন, ‘১৭তম ও ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদের মেয়াদ থাকলেও বয়স বৃদ্বির  কারণ দেখিয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তিতেও আমাদের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশনা থাকলেও আমাদের আবেদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরতে ঘুরতে আমরা ক্লান্ত। এ অবস্থায় নিরুপায় হয়ে আবারও রাজপথে আন্দোলনকে বেছে নিয়েছেন আবেদনবঞ্চিতরা।’

জানা গেছে, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ১৭তম নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রিলি, রিটেন ও ভাইভা পর চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বরে। ১ বছরের একটি নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে প্রায় চার বছর লেগেছে। এতে ১৭তম নিবন্ধনের ৭৩৯ জনের বয়স শেষ হয়ে যায়। অন্যদিকে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন সার্কুলার প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালের ২ নভেম্বর। দীর্ঘ দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে পরীক্ষার প্রতিটি ধাপ শেষে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয় ২০২৫ সালের ৪ জুন। এতে অনেকের বয়স শেষ হয়ে যায়।

ভুক্তভোগী আবেদনবঞ্চিতরা বলছেন, এনটিআরসিএ যে সনদ দিয়েছে তার মেয়াদ ৩ বছর থাকা সত্ত্বেও ১৭তম এবং ১৮তম নিবন্ধনধারীরা একবারও গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ পায়নি। অথচ ১-১৬তম নিবন্ধনের জন্য প্রকাশিত চারটি গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়সে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ১৭তম এবং ১৮তম নিবন্ধনধারীদের ক্ষেত্রে বয়সে ছাড় দেওয়া হয়নি। তাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে। এ বৈষম্যের অবসান চান তারা।

এনটিআরসিএ সূত্র জানিয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬০ হাজারের বেশি শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এই পদগুলোতে বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পূরণ করার দাবি জানিয়েছেন ১৭তম ও ১৮তম নিবন্ধনে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হয়েও আবেদনের সুযোগ না পাওয়া প্রার্থীরা। 

উল্লেখ্য, এর আগে একই  দাবিতে এনটিআরসিএর কার্যালয় ও জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ সচিবালয়ের সামনে একাধিকবার শান্তিপূর্ণভাবে মানববন্ধন ও আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন ১৭তম ৩৫ ঊর্ধ্ব নিবন্ধনধারীরা। এছাড়া আবেদনের সুযোগ চেয়ে প্রধা্ন উপদেষ্টা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা। দাবি আদায়ে এবার নতুন করে কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ১৭তম নিবন্ধনধারীরা। তাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন ১৮তম নিবন্ধনধারীরা।


সর্বশেষ সংবাদ