সভাকক্ষে উপস্থিত হয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা, অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে অর্ধলাখ নিবন্ধনধারীর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ০৩:১৫ PM , আপডেট: ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১০:১০ PM
৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশের ফলাফল প্রকাশ করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপস্থিত হয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার এবং নতুন শিক্ষা সচিব রেহেনা পারভীন। তাদের উপস্থিতির ফলে সুপারিশের অপেক্ষায় থাকা অর্ধলাখ নিবন্ধনধারীর অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে।
সরেজমিনে সচিবালয়ের সভাকক্ষে গিয়ে দেখা যায়, ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশের ফলাফল প্রকাশের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার কর্মকর্তা ছাড়াও এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক, সিস্টেম এনালিস্টসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
এদিকে তিনটি শর্তে পুলিশ ভেরিফিকেশন চলমান রেখে নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন ৪১ হাজারের বেশি প্রার্থী।মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
শর্ত তিনটি হলো- নিয়োগ সুপারিশপ্রাপ্ত কোনো শিক্ষকের সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট এজেন্সি কর্তৃক ভেরিফিকেশনে কোনো বিরূপ মন্তব্য/আপত্তি উত্থাপিত হলে অবিলম্বে উক্ত সুপারিশপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে এবং সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হবে।
প্রার্থীর পুলিশ নিরাপত্তা ভেরিফিকেশন বিরূপ মন্তব্য পাওয়া গেলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে এবং বিরূপ মন্তব্যসম্পন্ন শিক্ষককে অব্যাহতি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ও প্রার্থীকে জানাতে হবে।
গত ১৬ জুন লক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োগের ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনগ্রহণ শুরু হয় গত ২২ জুন। যা চলে ১০ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত। আবেদন ফি জমা দেওয়ার শেষ সময় নির্ধারণ করা ছিল ১৩ জুলাই রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, এ গণবিজ্ঞপ্তিতে ৫৭ হাজারের বেশি প্রার্থী আবেদন করেছেন।
অথচ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট এক লাখ ৮২২টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে—স্কুল ও কলেজে রয়েছে ৪৬ হাজার ২১১টি, মাদ্রাসায় ৫৩ হাজার ৫০১টি এবং কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানে এক হাজার ১১০টি পদ ফাঁকা। সে হিসেবে প্রায় অর্ধেকের মতো পদ ফাঁকাই থেকে যাবে।