স্কুলের টয়লেটে ছাত্রের বিবস্ত্র মরদেহ, বাবার সন্দেহ বান্ধবীকে

ড্যাফোডিল প্রিপারেটরি অ্যান্ড হাই স্কুলের টয়লেট
ড্যাফোডিল প্রিপারেটরি অ্যান্ড হাই স্কুলের টয়লেট   © সংগৃহীত

শেরপুর সদরে একটি বেসরকারি স্কুলের টয়লেট থেকে রিমন নামে এক ছাত্রের বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শিশু রিমন (১৬) পার্শ্ববর্তী খুনুয়া গ্রামের মো. সাগর মিয়ার ছেলে। সে ওই এলাকার ড্যাফোডিল প্রিপারেটরি অ্যান্ড হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ এলাকার ওই স্কুলের একটি টয়লেট থেকে শুক্রবার দুপুরে মরদেহটি উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হান্নান মিয়া।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ভ্যানচালক সাগর মিয়া ও মা রশিদা বেগমের চার ছেলের মধ্যে রিমন ছিল দ্বিতীয়। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সে স্কুলের পরীক্ষায় অংশ নেয়। বিকেলে মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলে বাড়ি গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করে আবার বাইরে বের হয় রিমন। সে মাঝে মধ্যেই না বলে নানা বাড়ি গিয়ে থাকতো। তাই রাত পেরিয়ে গেলেও তার বাবা-মা খোঁজ নেননি।

আরও পড়ুন: নুডলস খেতে গিয়ে শিশুর গলায় ঢুকে গেল সেফটিপিন

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ কর্মকর্তা হান্নান জানান, শুক্রবার সকালে স্কুলভবনের বাইরের টয়লেটে হাত-মুখ ধুতে গিয়ে মরদেহটি দেখতে পান নৈশপ্রহরী। বিবস্ত্র মরদেহের শরীরে কাদামাটি মাখানো ছিল। ওই প্রহরী পরে স্কুল কর্তৃপক্ষকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

ছেলেটির বাবা এ ঘটনার পেছনে ছেলের বান্ধবীকে দায়ি করেছেন। তিনি বলেন, ‘মেয়েটাকে আমার সন্দেহ লাগে। মেয়েটা আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে অন্য ছেলেকে দিয়ে মেরেছে। তার সঙ্গে আমার ছেলের সম্পর্ক ছিল।

‘আমার ছেলের হত্যাকারীর সঠিক বিচার চাই। আমার ছেলেটাই আমার সম্বল ছিল। আমি কৃষক মানুষ, কষ্ট করে লেখাপড়া করাচ্ছিলাম ছেলেকে।’

নিহত কিশোরের মা বলেন, ‘কিছুদিন ধরে এক মেয়ের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল। ওই মেয়ের সঙ্গে সে ফোনে কথা বলত। আমার ছেলেকে যে মারল তার আমি সুক্ষ্ম বিচার চাই। আমার ছেলেকে মারল কে?’

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট ময়মনসিংহের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, রিমনের শরীরের আঘাতের চিহ্ন থাকায় ধারণা করা হচ্ছে তাকে কোনো আক্রোশবশত হত্যা করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ