প্রেমের টানে টাঙ্গাইলে পীরের বাড়িতে ভারতীয় তরুণী!

ওই তরুণের বাড়ি
ওই তরুণের বাড়ি   © সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়, এরপর প্রেমের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের জেরে টাঙ্গাইলে কাতার প্রবাসী তরুণের বাসায় ছুটে এসেছেন ভারতীয় এক তরুণী। এরপর থেকেই ওই তরুণীকে গৃহবন্দী করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ফলে স্থানীয় লোকজনও তাকে দেখতে পারছেন না।  

ওই তরুণীর প্রেমিক কালিহাতি উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের বিন্যাউড়ী গ্রামের খাদেম হোসেনের ছেলে মামুন (২৫)। মামুনের চাচা গ্রাম্য চিকিৎসক ও পীর আসান হোসেন। বিউটি খাতুন (২০) ভারতের কলকাতার বর্ধমান শহরের শেখ হানিফের মেয়ে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ‘ভারতীয় তরুণীকে স্থানীয়রা দেখার জন্য বাড়িতে ভিড় জমালেও তাকে না দেখেই ফিরে যাচ্ছে। সাংবাদিক পরিচয়ে ওই বাড়িতে গেলে কাতার প্রবাসী প্রেমিক মামুনও কথা বলতে চায়নি। এছাড়া বাড়ির নারীরা পুরুষ সদস্যদের কথা বলতে বারণ করছেন। এসময় তথ্য চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন বাড়ির নারী সদস্যরা।’

জানা গেছে, ‘উপজেলার বিন্যাউড়ী গ্রামের খাদেম হোসেনের ছেলে মামুন গত পাঁচ বছর আগে কাতার গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই ভারতীয় ওই তরুণীর সঙ্গে মামুনের সামাজিক মাধ্যমে পরিচয় হয়। এরপর তাদের দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর গত মাস খানেক আগে মামুন দেশের বাড়িতে চলে আসে। আসার পরই বিদেশী তরুণী বিউটিকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। বাড়িতে আনার পর স্থানীয় মৌলভী দিয়ে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়। এছাড়া টাঙ্গাইলের এক কাজীর মাধ্যমে তাদের নিকাহ রেজিস্টার করা হয়।’

স্থানীয়রা জানান, ‘গত ৫ দিন আগে মেয়েটিকে মামুন বর্ডার থেকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। আসার পর ওই মেয়েটিকে কেউ দেখতে পারেনি। কারোর সাথে কোন কথাও বলতে চায় না তারা। পীরের বাড়ি হওয়ায় মেয়েটিকে এক রকম গৃহবন্দী (পর্দাশীল) করে রাখা হয়েছে। যদিও ওই বাড়ির নারীরা তেমন পর্দাশীল না। মূলত মামুন কাতার থাকার সময় ফেসবুকে ওই তরুণীর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরপর ওই মেয়ে এনে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। তবে বিয়ের ওই তরুণীর পক্ষে তার পরিবারের কেউ ছিল না।’

আরও পড়ুন : জাবির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তির সাক্ষাৎকারের সময়সূচি ঘোষণা

মামুনের পরিবারের সদস্যরা জানান, ‘বিদেশে থাকতেই ভারতীয় ওই তরুণীর সাথে তার সম্পর্ক হয়। ওই তরুণী বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসার মাধ্যমে তার পরিবার বাংলাদেশে মামুনের কাছে পাঠিয়েছে। বাড়িতে আনার পর আইনগতভাবে বিয়ে হয়েছে। তারা এখন স্বামী-স্ত্রী।’

উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য পরিতোষ পাল জানান, ‘বিদেশে থাকতেই ভারতীয় তরুণীর সাথে প্রেম হয় তার। এরপর দেশে আসার পর ওই তরুণীকে বাড়িতে নিয়ে এসেছে। তার বাবা স্থানীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ও তার চাচা পীর হওয়ায় তারা বিষয়টি নিয়ে তেমন আলোচনা করছেন না।’

কালিহাতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা আজিজুর রহমান বলেন, ‘ভারতীয় ওই তরুণী পশ্চিমবঙ্গ থেকে বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। পুলিশ সদস্যরা ওই বাড়িতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে। বিউটি খাতুন নামের ওই ভারতীয় তরুণীর সাথে কাতার প্রবাসী মামুনের প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপরই প্রেমের টানে ভারতীয় তরুণী মামুনের বাড়িতে আসে।’


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence