বিএনপির নেতাদের গর্তে ঢুকানোর ওষুধ আমাদের জানা আছে: তথ্যমন্ত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২২, ০৭:২১ PM , আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২২, ০৭:২১ PM
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা রাজপথে এখনও নামিনি, আগামী মাসে পরিপূর্ণভাবে নামবো। রাজপথে নামলে বিএনপি পালানোর জায়গা খুঁজে পাবে না। বিএনপিকে অবশ্য সারাদেশে খুঁজে পাওয়া যায় না, তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যায় নয়া পল্টনের অফিস ও প্রেস ক্লাবের সামনে। বিএনপির সেসব সমাবেশে এখন অনেক নেতাকর্মীদের দেখতে পাচ্ছি। তাদের কীভাবে গর্তে ঢুকাতে হয় সেই ওষুধ আমাদের জানা আছে। প্রয়োজনে প্রয়োগ করা হবে।’
শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির লাফালাফি হচ্ছে পুঁটি আর মলা মাছের মতো। তেলের দাম বাড়াতে ওরা একটু লাফাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সমগ্র পৃথিবীতে তেলের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। ৬০ ডলারের তেল ১৭০ ডলারে গিয়েছে। এখন সেটি ১৩৮/৪০ ডলার। দ্বিগুণের চেয়ে বেশি। আমরা তেলের দাম দ্বিগুণ করিনি। সবমিলিয়ে, ৩৮/৪০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। আমরা বাড়িয়ে পশ্চিম বাংলার সমান করেছি। বিশ্ববাজারে যদি তেলের দাম স্থিতিশীলভাবে কমে তাহলে আবার তেলের দাম সমন্বয় করা হবে। তাই বিএনপির এই পুঁটি ও মলা মাছের মতো এত লাফালাফির কোনও প্রয়োজন নেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপির পেট্রোলবোমা সন্ত্রাসীরা আবার মাঠে নেমেছে। তাদের তাড়িয়ে দিতে হবে এবং প্রতিরোধ করতে হবে। বিএনপির সমাবেশে আমরা কখনও বাঁধা দিইনি, দেবোও না। কিন্তু নিজেরা যখন মারামারি করে তখন তো অন্য কারও বাধা দিতে হয় না। যদি পেট্রোলবোমা বাহিনীদের দেখি, তখন কিন্তু আমরা বসে থাকবো না, প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কাগজে দেখলাম, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বলেছেন, সরকার নাকি বিদেশিদের চাপে কোনও সমাবেশে বাধা দিচ্ছে না। আমাদের নেত্রী কয়দিন আগে বলেছেন, আমরা বিএনপির কোনও সমাবেশে বাধা দেবো না। আমরা কোনও বাধা দেইনি। কিন্তু দেখলাম, গতকাল তারা নিজেরাই মারামারি করে নিজেদের সমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে। সমাবেশ ডাকলে যারা নিজেরাই চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে, নিজেরা মারামারি করে সমাবেশ পণ্ড করে সেখানে বাধাতো আমাদের দেওয়ার দরকার নেই। ভবিষ্যতেও দেখবেন, যখনই বিএনপি সমাবেশ ডাকবে তখনই নিজেরা পণ্ড করে দেবে।’
আরও পড়ুন: আগস্ট যাইতে দেন, টের পাবেন: নানক
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার প্রসিডিং সংরক্ষিত আছে, সেই মামলার প্রসিডিংয়ে আসামি ও সাক্ষীরা তাদের জবানবন্দিতে সবিস্তারে বলেছেন কখন কোথায় কীভাবে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে দেখা করেছিল, কীভাবে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মেজর জেনারেল শফিউল্লাহকে সরিয়ে দিয়ে জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনী প্রধান করেন খোন্দকার মোশতাক আহমেদ।’
রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সহ-সভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার। সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, জহির আহমদ চৌধুরী, মো. শাহজাহান সিকদার, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিস আজগর, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, আকতার হোসেন খান, জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার, আবু তাহের, এমরুল করিম রাশেদ, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।