লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে শিক্ষার্থীরা

সারা দেশেই লোডশেডিং
সারা দেশেই লোডশেডিং  © সংগৃহীত

জ্বালানির সঙ্কটের কারণ দেখিয়ে সারা দেশেই লোডশেডিং দিচ্ছে সরকার। দিনের বেলায় ক্লাসে গিয়েও গরমের কারণে পড়াশোনা করতে পারছে না শিক্ষার্থীরা। আবার সন্ধ্যার পরেও কয়েক দফায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারণে ঘরেও  ঠিকমতো পড়াশোনায় মন বসছে না। মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং আর তীব্র গরমে নাকাল হয়ে পড়েছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। 

সবচেয়ে সমস্যা তৈরি হচ্ছে সন্ধ্যার পরে বিদ্যুৎ চলে গেলে। সারা দেশে প্রত্যেক গ্রাম কিংবা শহরই শুধু নয়, প্রতিটি পরিবারের শিক্ষার্থী সন্তানরাই সন্ধ্যার পরে পড়তে বসে। কিন্তু সন্ধ্যার পরে বিদ্যুৎ না থাকলে অনেক পরিবারের ছেলেমেয়েরাই আর বিকল্প আলোতে পড়তে পারছে না। বাসাবাড়িতে সন্ধ্যার পরেও বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছে।

অভিভাবকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সরকার ঘোষণা দিয়ে এক ঘণ্টার লোডশেডিংয়ের কথা বললেও  দিনে রাতে কয়েক দফায় বিদ্যুতের চলে যায়। এ ছাড়া গত কয়েক দিনের তীব্র তাপদাহে অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তারা স্কুলে গিয়েও প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। শিক্ষকরা ক্লাসে গিয়েও লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমতো নিয়মিত পাঠ কার্যক্রম চালাতে পারছেন না।

আরও পড়ুন: স্কলারশিপ নিয়ে পড়ুন অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে 

সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দিয়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের ব্যবহার কমানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। গত (১৯ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এক অনুষ্ঠানে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিদ্যুতের ব্যবহার কমিয়ে নিয়মিত কার্যসম্পাদন করতে বলেছে। সূত্র জানায়, দেশে বিদ্যুৎঘাটতি মোকাবেলায় সরকারের নেয়া নির্দেশনা মোতাবেক সব বিশ্ববিদ্যালয়কে বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইউজিসি।

বাংলাদেশ অভিভাবক ফোরামরে সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল কবির দুলু বলেন, শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি হলে এই ক্ষতি অন্য কোনোভাবে পুষিয়ে নেয়া যায় না। এমনিতেই গত আড়াই বছরে শিক্ষা সেক্টর ও শিক্ষার্থীরা অনেক পিছিয়ে পড়েছে। তাই বিদ্যুতের কারণে যেন ক্লাস বা পরীক্ষায় কোনো ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়। বিশেষ করে ক্লাসের সময়ে এবং সন্ধ্যার সময়টিতে খেয়াল রেখে পড়াশোনার সময়ে যেন লোডশেডিং না দেয়া হয় সি বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

 


সর্বশেষ সংবাদ