বিয়ে না দেওয়ায় ফুফাতো বোনকে হত্যা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২২, ১১:১০ AM , আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২২, ১১:১০ AM
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আয়েশা (১৮) নামে তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ৮ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৩ জুলাই) সকালে কমলগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক বিজয় প্রসাদ রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, শনিবার (৯ জুলাই) বিকালে কমলগঞ্জের সদর ইউনিয়নের ছতিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত আয়েশা বেগম (১৮) ওই গ্রামের মৃত আজাদ মিয়ার মেয়ে।
জানা গেছে, ছতিয়া গ্রামের মৃত আজাদ মিয়ার পরিবার শনিবার সকালে কোরবানির জন্য একটি গরু কিনে বাড়ির আঙ্গিনায় ঘাস খাওয়ার জন্য বেঁধে রাখেন। বিকালে পাশের বাড়ির জহুর মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া ওই গরু তাদের জমির ধান খেয়েছে অভিযোগ করে গরুটি তাদের বাড়িতে নিয়ে বেঁধে রাখেন। এ নিয়ে উভয় পরিবার সদস্যদের মাঝে কথা কাটাকাটি হলে বিকেল ৩টার দিকে সিরাজ মিয়া ও অন্যান্যরা মৃত আজাদ মিয়ার পরিবারের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় ৮ জন আহত হন।
তারা হলেন- আয়েশা বেগম (১৮), কনিজা বেগম (৫৫), নশাদ মিয়া (৫৫), জুবেদা আক্তার (৪৫), ছালেহা বেগম (৪০), হারিস মিয়া (৩৫), বদরুল ইসলাম সোহাগ (২৩) ও সুমন মিয়া ওরফে সালাউদ্দিন (২৫)। হামলায় কনিজা বেগম, আয়েশা বেগম, জুবেদা আক্তার, ছালেয়া বেগম গুরুতরভাবে আহত হন।
এ ঘটনায় স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তাদেরকে পরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এছাড়া আয়েশা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোরে আয়েশার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, বুধবার (১৩ জুলাই) একই গ্রামের সালাউদ্দিন সুমনের সঙ্গে আয়েশার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। সবধরনের প্রস্তুতিও তারা সম্পন্ন করেছিলেন। হামলাকারী সিরাজ মিয়া আয়েশাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। আয়েশা সিরাজ মিয়ার ফুফাতো বোন হন। আয়েশার পরিবার আত্মীয়ের সঙ্গে বিয়ে দেবেন না বলে সিরাজের পরিবারকে জানালে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে হামলার ঘটনা ঘটায়।
এদিকে সোমবার (১১ জুলাই) এ হামলার ঘটনায় ৭ জনকে আসামি করে কমলগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। কমলগঞ্জ থানা পুলিশ হামলাকারী সিরাজ মিয়া ও সামাদ মিয়াকে একই দিন আটক করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক বিজয় প্রসাদ রায় বলেন, হামলার কারণেই ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। এ মামলায় সিরাজ ও সামাদ নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।