বোনকে রক্ষায় বখাটেদের মার খেলেন ভাই

ভাইরাল ভিডিও
ভাইরাল ভিডিও   © সংগৃহীত

বোরকাপরা এক তরুণীকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে রাখা তরুণকে বেধড়ক পেটানো হচ্ছে। মার খেলেও তরুণীকে ছাড়ছিলেন না খালি গায়ে থাকা ওই তরুণ। একপর্যায়ে তরুণীসহ পড়ে যান। এরপরও থামেনি প্রহার। জিরিয়ে জিরিয়ে পেটাচ্ছিলেন অন্য কয়েক তরুণ। এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। 

এদিকে ভাইরাল ভিডিওর সূত্র ধরে নির্মমভাবে মারধরের ঘটনায় আরমান ও রায়হান নামে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (১২ জুন) গভীর রাতে কক্সবাজার সদর খুরুশকুলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের পাশে ৩১ মে ঘটনাটি ঘটে। উত্ত্যক্ত করার সময় বোনকে রক্ষা করতে গিয়ে বখাটে কিশোর গ্যাংদের হাতে মারধরের শিকার হন আবদুল মোনাফ নামের ওই তরুণ।

আরও পড়ুন: মাছ থেকে উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণ শুরু রাবির

মারধরের শিকার তরুণ আব্দুল মোনাফ জানায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পে পাওয়া ঘরে আমরা থাকি। ওই দিন বোন মামার বাড়ি যাচ্ছিল। পথে খুরুশকুল মনুপাড়ার জামাল-রায়হানরা বোনকে নোংরা ভাষায় কথা বলে। নোংরা কথা শোনার পর  বোন কয়েকবার ফিরে আসতে চাইলে তারা বার বার পথ আটকায়। প্রকল্প থেকে এসব দেখে দৌড়ে আসি আমি। জিজ্ঞেস করার সঙ্গে সঙ্গে তারা বোনকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে। তখন আমি বোনকে জড়িয়ে ধরি। এ সময় কেন মারছে বা নোংরা কথা কেন বলছে জানতে চাইলে তারা আমাকেও মারধর শুরু করে।

সে আরও বলে, অনেক মারধর করায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হই। পরে থানায় অভিযোগও করি। কিন্তু পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ব্যবস্থা না হওয়ায় উত্ত্যক্তকারীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা আবার মারধরের হুমকি দিচ্ছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুল গিয়াস বলেন, শনিবার রাতে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা গেছে, এক তরুণীকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরা এক তরুণকে অন্য কয়েকজন অমানবিকভাবে পেটাচ্ছেন। তরুণীকে জড়িয়ে ধরা খালি গায়ের তরুণটি থানায় অভিযোগকারী হিসেবে শনাক্ত হয়। ভিডিওর ঘটনাটি চরম অমানবিক। এটা সভ্য সমাজে বেমানান। ভিডিওটিকে গুরুত্ব দিয়ে রাতেই অভিযানে নামে পুলিশ। ভোরে প্রহারে জড়িতদের মধ্যে আরমান ও রায়হান নামে দুজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আনো হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সবকিছু খতিয়ে দেখে এ ব্যাপারে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবং সেভাবেই কাজ চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ