বিদ্যালয়ে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রী উপস্থিতি বেড়েছে

বিদ্যালয়ে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রী উপস্থিতি বেড়েছে
বিদ্যালয়ে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রী উপস্থিতি বেড়েছে  © ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের পর প্রাথমিক ও মাধ্যমিক উভয় পর্যায়ে ক্লাসে ফেরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রী উপস্থিতি বেড়েছে। ‘নিরাপদ ইশকুলে ফিরি’ ক্যাম্পেইনের একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বুধবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকার একটি হোটেলে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

ক্যাম্পেইন পরিচালনাকারী সংস্থাগুলো দেশের ৭টি বিভাগের ১৭টি জেলার ৩২৮টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলে প্রায় ৩ সপ্তাহব্যাপী সমীক্ষা চালিয়েছে। সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমীক্ষা চলাকালীন তিন সপ্তাহে স্কুলগুলোতে প্রাথমিক পর্যায়ে ১৬-৩৭ শতাংশ ছেলে শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল এবং মেয়ে শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল ১৪-৩৫ শতাংশ। একইসঙ্গে মাধ্যমিক স্তরে অনুপস্থিত ছিল ৩৪-৪৫ শতাংশ ছেলে শিক্ষার্থী এবং ২৮-৪১ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী।

দীর্ঘ বিরতির পর স্কুলে শিশুদের উপস্থিতি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা রক্ষণাবেক্ষণ এবং মানসিক সুস্থতা পর্যবেক্ষণ করতে এই গবেষণা পরিচালনা করা হয়। উল্লিখিত ৩২৮টি স্কুল থেকে ১৬০৬ জন শিশুর সঙ্গে ফোকাস গ্রুপ আলোচনা করে এবং শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারধর্মী আলোচনার মাধ্যমে গুণগত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। গুণগত গবেষণা থেকে শিক্ষার্থীদের স্কুলে অনুপস্থিত থাকার প্রাথমিক কারণগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ক্লাস বন্ধ রেখে উকুন খোঁজা: সব সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাদের বদলি

এর কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়া, বাল্যবিয়ে, পরিবারের অন্য এলাকায় স্থানান্তর, অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলে যাওয়া ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণে অনাগ্রহ ইত্যাদি। গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে স্কুলে শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ও। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৭৪ শতাংশ শিক্ষার্থী স্কুলে মাস্ক পরে এবং সামগ্রিকভাবে ৭২ শতাংশ শিক্ষার্থী শ্রেণিকক্ষে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে।

ক্যাম্পেইনটি পরিচালনাকারী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলো হলো– ব্র্যাক, ব্রিটিশ কাউন্সিল, গণসাক্ষরতা অভিযান, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, এডুকো বাংলাদেশ, এফআইভিডিবি, ফ্রেন্ডশিপ, হ্যাবিট্যাট ফর হিউম্যানিটি বাংলাদেশ, হ্যান্ডিক্যাপ ইন্টারন্যাশনাল- হিউম্যানিটি অ্যান্ড ইনক্লুশন, জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশন, লিওনার্ড চ্যাশায়ার, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, রুম টু রিড বাংলাদেশ, সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ, সাইটসেভারস, সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ, স্ট্রমী ফাউন্ডেশন, টিচ ফর বাংলাদেশ, ভিএসও, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এবং ইপসা।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করতে দীর্ঘ সময় কাজ করতে হবে। সরকারের অনেক গবেষণা ফলাফলের সঙ্গেই এই গবেষণা মিলে গেছে। যারা বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে তাদের শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে আনতে একদম তৃণমূলে গিয়ে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়ে কাজ করবো বলে ২ লাখ শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু করেছি। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্তত দুজন কাউন্সিলিংয়ের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক থাকবেন। আর প্রতিটি জেলায় একজন করে পেশাদার কাউন্সিলর থাকবে। সবাই মিলে কাজ করলে যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা অবশ্যই পূরণ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence