১৪৪ বিষয়ে ভুয়া সার্টিফিকেট দিত প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, উপাচার্য গ্রেফতার
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২২, ০৪:৫০ PM , আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২২, ০৪:৫০ PM
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুয়া সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আকতার এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে, বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ডা. মো. সাইদুর রহমান, নুরুল হক সরকার ওরফে শেখ মনি সরকার (৭২), মোয়াজ্জেম হোসেন (৫৮), ডা. মো. সাইদুর রহমান ওরফে নজরুল (৩০), মাহফুজুর রহমসন মাহফুজ (৩৭), ডা. মো. আমান উল্লাহ (৩৮) ও দেবাশীষ কুন্ডু (৫২)।
ভুয়া সার্টিফিকেট দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হল- প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, পিচ ব্লেন্ড ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি এবং পিস ল্যান্ড ইউনিভার্সিটি।
ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার একেএম হাফিজ আকতার জানান, রাজধানীর মালিবাগস্থ প্যারামাউন্ট টাওয়ারে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ভুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ১ জন সহযোগীসহ ভুয়া ৪ জন এমবিবিএস ডাক্তারদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও জানান, গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে অসংখ্য ভুয়া সনদপত্র, টেস্টিমোনিয়াল, ট্রান্সক্রিপ্ট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, অ্যাডমিট কার্ড, কয়েকটি নকল সিল জব্দ করা হয়। এছাড়া ৪টি বিভিন্ন ব্যাংকের চেক, ভুয়া সনদ প্রদানের বিজ্ঞাপনের পেপার কাটিং ও লিফলেট, প্রেসক্রিপশন, অসংখ্য ভিজিটিং কার্ড, নব দিগন্ত ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এন্ড ডক্টরস চেম্বার এর কপি ও ১টি ডায়াগনস্টিক, একটি মনিটর, একটি কি বোর্ড ও একটি প্রিন্টারও জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : মেডিকেলে সুযোগ পেয়েছে মেয়ে, খরচ যোগাতে চিন্তায় ভ্যানচালক বাবা
তিনি আরও জানান, এই জিনিসগুলো ভুয়া সনদপত্র তৈরি ও ছাপার কাজে ব্যবহৃত হতো। চক্রটি প্রায় দুই দশক ধরে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির নামে ভুয়া সার্টিফিকেট বিক্রির ব্যবসা করে আসছিল। প্রতারণার কাজে তারা ভুয়া ওয়েবসাইট, বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভুয়া আদেশ ও হাইকোর্টের জাল রিট প্রদর্শন করে।
তারা এমবিবিএস, বিডিএস, এমফিল, পিএইচডি, ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাডভোকেটশিপসহ ১৪৪টি বিষয়ের উপরে অসংখ্য ভুয়া সার্টিফিকেট প্রদানের নামে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ডিএমপি'র রমনা থানায় একটি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।