এসআই পরিচয়ে কলেজছাত্রীকে বিয়ে, ভুয়া শনাক্তের পর গণধোলাই

গণধোলাইয়ের শিকার উৎপল মণ্ডল
গণধোলাইয়ের শিকার উৎপল মণ্ডল  © সংগৃহীত

পরিচয় লুকিয়ে এক কলেজছাত্রীকে বিয়ে করেছিলেন উৎপল মণ্ডল (৪০)। বিয়ের সময় বলেছিলেন তিনি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই)। দুইমাস পর জানা গেছে তিনি মিথ্যা পরিচয় দিয়েছেন। এরপর তাকে গণদোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নে এমনই ঘটনা ঘটেছে।

ফরিদপুর সারদা সুন্দরী কলেজের ওই ছাত্রীর সঙ্গে মোবাইলে ফোনে পরিচয় হয় উৎপল মণ্ডলের। উৎপল নিজেকে এসআই পরিচয় দেন এবং একটি আইডি কার্ড দেখান। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তী সময়ে তারা এফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করেন। প্রায় ২ মাস ধরে মাঝে মধ্যেই যাতায়াত ছিল শ্বশুরবাড়ি।

আরও পড়ুন: ফেসবুকে বেশি সময় দিলে, বেশি খারাপ থাকবেন: গবেষণা

কিন্তু পুলিশের পরিচয়পত্র দেখানোর পরও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সন্দেহ হয়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্বশুর বাড়িতে আসার পর তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ভুয়া এসআই পরিচয়ের কথা স্বীকার করে। পরে তাকে মারধর করা হয়।

আজ শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে নবাবপুর ইউপি চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বালিয়াকান্দি থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। প্রতারকের নাম উৎপল মন্ডল (৪০)। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানার দিস্তাই গ্রামের নিরাপদ মন্ডলের ছেলে।

নবাবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাদশা আলমগীর বলেন, পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণাকারীকে স্থানীয় লোকজন ধরে আমাকে খবর দেয়। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

বালিয়াকান্দি থানার ওসি তারিকুজ্জামান বলেন, প্রতারণার শিকার পরিবারের লোকজন তাকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। অভিযোগ দায়ের করার পর মামলা দায়ের করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ