ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের মতো অটল থাকুন: সিইসি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৩:৫১ PM , আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৩:৫১ PM
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নির্বাচন তো যুদ্ধও। যেমন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেনেলস্কি মাঠ ছেড়ে পালাননি। এমনই ভাবে দলগুলোকেও মাঠে থাকতে হবে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব দায়িত্ব পালনের।’ সোমবার দুপুরে (২৮ ফেব্রুয়ারি) কর্মস্থলে যোগ দিয়ে প্রথম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, পরিচয় পর্বের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের কর্মপরিধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে প্রথম দিনের কর্মসূচির প্রথম সভায়। সকলে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন বলে আশা করছি। তবে নির্বাচনকে সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই মাঠ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: মেডিকেলে আবেদন করতে পারছেন না মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা
তিনি আরও বলেন, সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী কাজ করব আমরা। ভোটারদের সচেতন করতে হবে। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হতে হবে। তবে পরিবেশ যেন নিরাপদ থাকে সে বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
নির্বাচনে বিএনপিসহ যারা অংশ না নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে, তাদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আলোচনার পথ সবসময় খোলা আছে। মাঠের দূরত্ব কমাতে আলোচনার কোনও বিকল্প নেই। তাই সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে আরও সহনশীল হয়ে আলোচনায় বসতে হবে।
এর আগে, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে পৌঁছান প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল ও চার নির্বাচন কমিশনার শিদা সুলতানা, আহসান হাবীব খান, মো. আলমগীর এবং আনিছুর রহমান। এসময় তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান সহকর্মীরা।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ বাৎসরিক ফি জবির ছাত্রী হলে
গতকাল রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে নতুন নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান। স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠিত হলো। গেল ২৭শে জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার বিল ২০২২ জাতীয় সংসদে পাশ হয়।
নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সার্চ কমিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এবং ব্যক্তি পর্যায় থেকে নাম নেওয়া ছাড়াও বিশিষ্টজনের সঙ্গে বৈঠক করে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর সার্চ কমিটির সদস্যরা রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে ১০ জনের নামের তালিকা হস্তান্তর করেন। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি পাঁচজনের নাম ঘোষণা করেন।