২২ ফেব্রুয়ারি কি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে?

শিক্ষার্থী
শিক্ষার্থী  © ফাইল ফটো

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সংক্রমণ কমতে শুরু করায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনার মধ্যে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হলেও সংক্রমণ কমতে থাকায় আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকেই কেটে যেতে পারে বিধি-নিষেধ। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রথমে সীমিত আকারে সশরীরে পরীক্ষার সঙ্গে ক্লাসও শুরু হতে পারে। এরপর শুরু হতে পারে নিয়মিত ক্লাস। তবে এ সবই নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর।

সূত্র আরও জানায়, দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে শিগগিরই বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। কমিটির সুপারিশ পাওয়ার পর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দেবেন সেটিই বাস্তবায়ন করা হবে।

আরও পড়ুন: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, স্কুল-কলেজ খোলার প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। জাতীয় কারিগরি কমিটির পরামর্শের আলোকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নানা জল্পনা-কল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই বলছেন, ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হবে।  কোনো সূত্র উল্লেখ করা না হলেও স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে একাধিক শিক্ষক ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

শিক্ষকদের এমন স্ট্যাটাস প্রসঙ্গে এম এ খায়ের জানান, ফেসবুকে কে কি করলো সেটি নিয়ে আমাদের মাথা ব্যাথা নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। সিদ্ধান্ত হলে সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে।

আরও পড়ুন: ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগ

এদিকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, করোনার সংক্রমণ দিন দিন কমতে থাকায় শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হবে। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সিলেট সার্কিট হাউজে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, করোনা বৈশ্বিক সমস্যা। আমরা চেষ্টা করি যাতে শিক্ষার্থীদের কোনো ক্ষতি না হয়। করোনা সংক্রমণ বাড়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা চিন্তা করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। এখন প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণের হার কমছে। আশা করি খুব দ্রুতই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারবো।


সর্বশেষ সংবাদ