পবিত্র শবে মেরাজ ২৮ ফেব্রুয়ারি

পবিত্র শবে মেরাজ ২৮ ফেব্রুয়ারি
পবিত্র শবে মেরাজ ২৮ ফেব্রুয়ারি  © ফাইল ছবি

দেশের আকাশে পবিত্র রজব মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামীকাল ৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে পবিত্র রজব মাস গণনা শুরু হবে। ফলে পবিত্র লাইলাতুল মেরাজ পালিত হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি (২৬ রজব) রাতে।

বুধবার (০২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

দেশে লাইলাতুল মেরাজের দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকে। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানে এ দিন ঐচ্ছিক ছুটি।

আরও পড়ুন: লাইলাতুল মেরাজের ঘটনা ও শিক্ষা

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মুনিম হাসান জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৩ হিজরির রজব মাসের চাঁদ দেখার খবর পাওয়া গেছে। এজন্য বৃহস্পতিবার থেকে রজব মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হবে।

ইসলাম ধর্মমতে লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রাত, যা সচরাচর শবে মেরাজ হিসাবে আখ্যায়িত হয়, হচ্ছে যে রাতে ইসলামের নবী মুহাম্মদ (সা.) ঐশ্বরিক উপায়ে ঊর্ধ্বাকাশে আরোহণ করেছিলেন এবং স্রষ্টার সাথে সাক্ষাৎ করেন। অনেক মুসলমান এবাদত-বন্দেগীর মধ্য দিয়ে এই রাতটি উদ্‌যাপন করেন। আবার অনেক মুসলমান এই রাত উদ্‌যাপন করেন না বরং এই রাত উদ্‌যাপন করাকে বিদআত বলেন।

ইসলামে মেরাজের বিশেষ গুরুত্ব আছে, কেননা এই মেরাজের মাধ্যমেই ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের দ্বিতীয় স্তম্ভ অর্থাৎ নামাজ, মুসলমানদের জন্য অত্যাবশ্যক (ফরজ) করা হয় এবং এই রাতেই দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মুসলমানদের জন্য নিয়ে আসেন নবী মুহাম্মদ (সা:)।

আরও পড়ুন: এ রাতেই আল্লাহর সান্নিধ্যে গিয়েছিলেন মহানবী

ইসলামের ইতিহাস অনুযায়ী মুহাম্মাদের (সা:) নবুওয়াতের দশম বৎসরে (৬২০ খ্রিষ্টাব্দ) রজব মাসের ২৬ তারিখের দিবাগত ইসলামের নবী মুহাম্মাদ (সাঃ) প্রথমে কাবা শরিফ থেকে জেরুজালেমে অবস্থিত বায়তুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসায় গমন করেন এবং সেখানে তিনি নবীদের জামায়াতে ইমামতি করেন। অতঃপর তিনি বোরাক নামক বিশেষ বাহনে আসীন হয়ে ঊর্ধ্বলোকে গমন করেন। ঊর্ধ্বাকাশে সিদরাতুল মুনতাহায় তিনি আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করেন। এই সফরে ফেরেশতা জিবরাইল তার সফরসঙ্গী ছিলেন।

কুরআন শরিফের সুরা বনি ইসরাঈল এর প্রথম আয়াতে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে: পবিত্র মহান সে সত্তা, যিনি তাঁর বান্দাকে রাতে নিয়ে গিয়েছেন আল মাসজিদুল হারাম থেকে আল মাসজিদুল আকসা পর্যন্ত, যার আশপাশে আমি বরকত দিয়েছি, যেন আমি তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখাতে পারি। তিনিই সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা।


সর্বশেষ সংবাদ