অপতথ্য মোকাবিলায় গণমাধ্যমে ’ফ্যাক্ট-চেকিং’ ব্যবস্থা চালুর আহ্বান
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:০৫ PM , আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮:৫১ PM
দেশে ইন্টারনেট স্বাধীনতার ক্ষেত্রে বিদ্যমান প্রধান হুমকিগুলো মোকাবিলায় গণমাধ্যমের করণীয় বিষয়ে বালাদেশ ইন্টারনেট স্বাধীনতা উদ্যোগ ওয়ার্কিং গ্রুপ সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের নির্বাহীদের সঙ্গে একটি পরামর্শ সভা হয়েছে। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও নির্বাহীরা অংশ নেন। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন আর্টিকেল নাইনটিন এ সভা আয়োজনে সহযোগিতা করে।
আরও পড়ুন: দুই চিকিৎসক দিয়েই চলছে যবিপ্রবির চিকিৎসাসেবা
সভায় বক্তারা অনলাইনে অপতথ্য ও গুজব ছড়ানো প্রতিরোধে প্রতিটি মিডিয়া হাউজে ‘ফ্যাক্ট-চেকিং টুলসের’ ব্যবহার ও ’ফ্যাক্ট-চেকার’ তৈরির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তারা ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার ও অনলাইনে তথ্য যাচাইয়ে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের জন্য মিডিয়ার নীতি-নির্ধারকদের প্রতিও আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য ও বাংলাদেশ টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্কের সভাপতি রাশেদ মেহেদী ‘বাংলাদেশে ইন্টারনেট স্বাধীনতার হুমকি মোকাবেলায় মিডিয়ার ভূমিকা’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এতে তিনি বলেন, ডিজিটাল অধিকার, তথ্য প্রকাশ ও পাওয়ার স্বাধীনতা, ইন্টারনেটে প্রবেশগম্যতার অধিকার, ইন্টারনেট সেন্সরশিপ থেকে মুক্ত থাকা এবং সবার জন্য সমান সুযোগের ইন্টারনেট সেবাকে বিশ্বজুড়ে ইন্টারনেট স্বাধীনতার অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশে এই পাঁচটি অধিকার নিশ্চিতে সঠিক তথ্য সরবরাহ করা, ইন্টারনেট স্বাধীনতার ধারণা প্রচার করা এবং মানুষকে ডিজিটাল অধিকার ও নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন করার মাধ্যমে মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
আরও পড়ুন: করোনায় মৃত্যু কমেছে, বেড়েছে শনাক্ত
অনুষ্ঠানে প্রথম আলোর যুগ্ম-সম্পাদক সোহরাব হাসান বলেন, সত্য গোপন করা যায় না। ভুল তথ্য প্রদানকারী মিডিয়ার ওপর থেকে মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলে। তাই সংবাদ প্রকাশে গণমাধ্যমকে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে।
আর্টিকেল নাইনটিন দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, গণমাধ্যম ও ইন্টারনেটের স্বাধীনতা পরস্পর অবিচ্ছেদ্য। বর্তমানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একটি নিরাপদ, বৈষম্যহীন ও অবারিত ইন্টারনেট ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে। কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন গণমাধ্যম ও ইন্টারনেট উভয়ের স্বাধীনতার জন্যই হুমকি।
অনুষ্ঠানে আর্টিকেল নাইনটিনের তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, সংস্থাটি ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া ২২৫টি মামলার ঘটনা রেকর্ড করেছে। বিভিন্ন শ্রেনী -পেশার ৪১৭ জন ব্যক্তি এসব মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ৬৮ জন সাংবাদিক। এসময় ১৫ জন সাংবাদিক এই আইনের আওতায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৬ দফা দাবিতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ
অনুষ্ঠানে ওয়ার্কিং গ্রুপের পক্ষে আরও বক্তব্য দেন ড. সৈয়দা আইরিন জামান, ব্যারিস্টার সৈয়দ এজাজ কবির, নাজনীন নাহার এবং তৌফিক আহমেদ শাহিন। এছাড়া সভায় সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য দেন রিপোটার্স উইদআউট বর্ডারের বাংলাদেশ প্রতিনিধি সেলিম সামাদ, অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাহান্ননিউজ ডটকমের সম্পাদক বিভাষ বাড়ৈ, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের বার্তা প্রযোজক সাইফুল ইসলাম সোহাগ, দুরন্ত টিভির গবেষণা ব্যবস্থাপক রুহিনা তাসমনি অনু, নিউ এজের সাংবাদিক মুকতাদির রশিদ রোমিও, ডেইলি স্টারের সাংবাদিক জাইমা ইসলাম, ডেইল আওয়ার টাইমের প্রধান প্রতিবেদক তাপসী রাবেয়া আঁখি, ইত্তেফাকের সাংবাদিক রাবেয়া বেবি প্রমুখ।