৪০ বছর বয়সে ৯ম শ্রেণির পরীক্ষা দিচ্ছেন কাউন্সিলর

পরীক্ষা দিচ্ছেন নারী কাউন্সিলর জলিদা বেগম
পরীক্ষা দিচ্ছেন নারী কাউন্সিলর জলিদা বেগম  © সংগৃহীত

বয়স আর লোকলজ্জার তোয়াক্কা না করে আবার স্কুলে ভর্তি হয়ে এবার পরীক্ষা দিচ্ছেন নারী কাউন্সিলর জলিদা বেগমে। তিনি ২০২১ শিক্ষাবর্ষে কয়ামাজমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কারিগরি শাখায় নবম শ্রেণির ভোকেশনালে ভর্তি হন।

ছোটবেলায় সুযোগ-সুবিধার অভাবে পড়ালেখা করতে পারেননি জলিদা। তবে ৪০ বছর বয়সেও হাল ছাড়েননি তিনি। রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার কয়ামাজমপুর উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে কারিগরি বোর্ডের অধীনে নবম শ্রেণির (ভোকেশনাল) ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কেন্দ্রের ২০২ নম্বর কক্ষে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নবম শ্রেণির ফাইনাল পরীক্ষা দিচ্ছেন নারী কাউন্সিলর জলিদা বেগম।

আরও পড়ুন: আঁখির হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, জলিদা বেগমের বাড়ি দুর্গাপুর পৌর এলাকার নান্দোপাড়া গ্রামে। তিনি এবারের দুর্গাপুর পৌরসভা নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসন সিংগা-বহরমপুর, রৈপাড়া ও নান্দোপাড়া-চৌপুকুরিয়া ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর। তিনি তিন সন্তানের জননী।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর জলিদা বেগম জানান, ছোটবেলায় সুযোগের অভাবে লেখাপড়া করতে পারিনি। অভাবের সংসার হওয়ায় মা-বাবা ছোটবেলাতেই বিয়ে দিয়ে দেন। এর ফলে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হয়েছি। এখন জনসেবা ও সাংসারিক জীবনের পাশাপাশি লেখাপড়া শুরু করেছি। কারণ আমি আমার জীবনকে নতুনভাবে গড়তে চায়।

আরও পড়ুন: ব্রিটেনে প্রথম নারী কিউসি হলেন বাংলাদেশী সুলতানা

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল হক বলেন, নারী কাউন্সিলর জলিদা বেগম ২০২১ শিক্ষাবর্ষে কয়ামাজমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কারিগরি শাখায় নবম শ্রেণির ভোকেশনালে ভর্তি হন। এ বছর তিনি কারিগরি বোর্ডের অধীনে নবম শ্রেণির বোর্ড ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন।

জলিদা বেগমের পরীক্ষার কক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষক সাজ্জাদ হোসেন জানান, বয়স ৪০ বছর হলেও পড়ালেখার বিষয় অনেক আগ্রহ রয়েছে জলিদার। প্রতিটি পরীক্ষা তিনি ভালোভাবে দিচ্ছেন। তার লেখার মধ্যে কোনো জড়তা দেখা যায়নি।

আরও পড়ুন: পলিটেকনিকের ছাত্রীর আত্মহত্যা

লেখাপড়ার প্রতি জলিদা বেগমের এই আগ্রহ অনেক স্বল্পশিক্ষিতকে অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে তিনি জানান।


সর্বশেষ সংবাদ