আসপিয়া ভূমিহীন নন, আছে ‘প্রায় ২ বিঘা’ জমি

আসপিয়া ও তার মা
আসপিয়া ও তার মা  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল পদে উত্তীর্ণ হওয়া সেই আসপিয়ার পরিবারের নিজস্ব জমির সন্ধান মিলেছে। তার গ্রামের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার হালিমাবাদ গ্রামে। পুলিশের কনস্টেবল পদে উত্তীর্ণ হয়েও স্থায়ী ঠিকানার ‘ভুল তথ্য’ দেয়ায় পুলিশ ভেরিফিকেশনে আটকে যায় আসপিয়া।

আসফিয়া জানিয়েছিল, হিজলায় জমি নেই বলেই চাকরি হয়নি। তার এই ক্ষোভের কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল হয়।

আরও পড়ুন: বেনজীর ও র‍্যাবের ডিজিসহ ৭ কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

এরই মধ্যে জানা গেছে, ভোলার চরফ্যাশনে পৈতৃক সূত্রে ৬৪ শতাংশ জমি আছে আসপিয়াদের। তার বাবা শফিকুল ইসলাম ভোলার চরফ্যাশনের আমিনাবাদ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মকবুল হোসেনের ছেলে।

হিজলায় আসপিয়ার আত্মীয় সূত্রে জানা যায়, হিজলা উপজেলা সদরে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন আসপিয়ার বাবা-মা। সেখানেই জন্ম হয় আসপিয়ার। ২০১৯ সালে শফিকুলের মৃত্যু হয়। এর পর থেকে আসপিয়া ও তার পরিবার হিজলার খুন্না-গোবিন্দপুর ইউনিয়নে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। মৃত্যুর পর শফিকুলকে দাফন করা হয় পারিবারিক জমিতে। সেখানে আসপিয়া ও তার মায়ের যাওয়া-আসাও আছে নিয়মিত।

এ ব্যাপারে আসপিয়ার চাচা মোশাররফ হোসেন জানান, ‘আমার ছোট ভাই শফিকুলের সরকারি চাকরি হওয়ায় প্রথমে সে পিরোজপুরে যায়। সেখানেই বিয়ে করে। এরপর বরিশালের হিজলায় ট্রান্সফার হওয়ার পর সেখানেই বসবাস শুরু করে। দুই বছর হয়েছে আমার ভাই শফিক মারা গেছে। জমি ভাগাভাগি হওয়ার পর আসপিয়ারা চরফ্যাশনে ৬৪ শতাংশ জমি পেয়েছে। এর মধ্যে ১৪ শতাংশ বাড়ির এবং বাকিটা বিলের জমি।

আরও পড়ুন: তুরস্ক থেকে ময়মনসিংহে এসে ঘর বাঁধলেন তরুণী

জমি থাকা সত্ত্বেও নিজেকে ভূমিহীন বলার কারণ জানতে চাইলে আসপিয়া বলেন, ‘আমার দাদা বাড়ি চরফ্যাশনে। আমি তিন থেকে চারবার ওখানে গিয়েছি। চরফ্যাশনে আমাদের জমি রয়েছে। তবে সেখানে আমি স্থায়ী বাসীন্দা না। জমি আছে তা আমি ঠিক জানি না।’

আসপিয়ার মা বলেন, ‘চরফ্যাসানে শ্বশুরবা‌ড়ি‌তে তেমন যোগাযোগ নেই আমাদের। তবে, তিন মাস আগে গেছিলাম আমার বড় জা মারা যাওয়ায়। ওখানে জ‌মি আছে, তবে তা আমরা ভোগদখল ক‌রি না। আমরাও স্থায়ী হিজলাতেই। আমার স্বামী মারা যাওয়ার আগে আমাকে কিছু বলে যাননি। তাই আমি এসব কিছু জানি না।’


সর্বশেষ সংবাদ