স্কুলছাত্র দুর্জয়ের পরিবারকে ট্রেড লাইসেন্স দিলেন মেয়র
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪:০০ PM , আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০৪:৩৩ PM
রাজধানীর পূর্ব রামপুরায় তিতাস রোডে বাসচাপায় নিহত এসএসসি পরীক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়ের পরিবারকে ট্রেড লাইসেন্স দিয়েছেন ঢাকা উক্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে মাইনুদ্দিনের বাসায় সমবেদনা জানাতে এসে এই উপহার দেন ডিএনসিসি মেয়র।
এ সময় মাইনুদ্দিনের মাকে শান্তনা দিয়ে মেয়র আতিকুল বলেন, কিছু মনে না করলে, আমি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে একটি ট্রেড লাইসেন্স সঙ্গে নিয়ে এসেছি। আপনার আগের যে চায়ের দোকান ছিল সেটি এখন বৈধ হয়ে গেল। এখানে চায়ের দোকান ও মুদি দোকানের একসঙ্গে ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে।
সেই সঙ্গে মাইনুদ্দিনের বড় ভাই মনিরকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি চালক হিসেবে নিয়োগের প্রতিশ্রুতিও দেন ডিএনসিসির মেয়র।
এছাড়া ৫০ হাজার টাকার একটি খাম মাইনুদ্দিনের মায়ের হাতে দিয়ে মেয়র বলেন, আসলে সন্তান হারানোর বেদনার কাছে টাকা কিছুই নয়। তবুও এই পরিস্থিতিতে সামান্য এই টাকা রাখুন, বিপদে-আপদে কাজে লাগবে।
তখনও মাইনুদ্দিনের মা রাশেদা বেগম ও বাবা আব্দুর রহমান ছেলে হারানোর শোকে কাঁদছিলেন। রাশেদা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন মাইনুদ্দিনের লেখাপড়ার খরচ দিতে আমাদের খুব কষ্ট হতো। তারপরও ছেলের পড়ালেখা চালিয়ে আসছিলাম। মাইনুদ্দিন বলতো মা আমি পড়ালেখা করে সরকারি চাকরি করবো, তারপর তোমাদের সব টাকা দিয়ে দেব, আর আমরা সচ্ছলভাবে চলব৷ কিন্তু ছেলের সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না৷ মাইনুদ্দিনের বড়ভাই মনির গাড়ি চালায়।
তিনি আরও বলেন, আমি এবং দক্ষিণের মেয়র মিলে বাস-রুট ফ্রেঞ্চার্স নিয়ে কাজ করছি। আগামী ২৬ ডিসেম্বর মোহাম্মদপুরের ঘাটেরচর থেকে যাত্রাবাড়ী হয়ে সাইনবোর্ড পর্যন্ত একটি বাসরুট চালু করতে যাচ্ছি। এটি পরীক্ষামূলক চলবে।
উল্লেখ্য, সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় গ্রিন অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় মাইনুদ্দিন নিহত হয়। এ ঘটনায় রাতে সড়ক অবরোধ করে উত্তেজিত জনতা। এ সময় ঘাতক বাসসহ আটটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় আরও চারটি বাস।