৩৪ দিন পর যেভাবে রক্ষা পেল স্কুলছাত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২১, ০১:১৩ PM , আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০২১, ০২:৩৮ PM
টাঙ্গাইলে ‘প্রেমের ফাঁদে’ ফেলে ৩৪ দিন আটকে রেখে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এরপর ভারতে পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বেনাপোলে। বিষয়টি টের পেয়ে ওই ছাত্রী কৌশলে পালিয়ে বাড়ি ফিরেছে।
রবিবার (১৭ অক্টোবর) ভূঞাপুরের বাসিন্দা ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্র থেকে জানা গেছে, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাশের ঘাটাইল উপজেলার গৌরিশ্বর গ্রামের আসকরের ছেলে আল আমিন (২৫) এর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই স্কুলছাত্রীর। চলতি বছরের ২১শে জুলাই ঈদুল আজহার দিন বিকেলে ওই ছাত্রী তার মায়ের সঙ্গে নানাবাড়ি একই উপজেলায় তেঘরী গ্রামে বেড়াতে যায়। সেখান থেকে আল আমিনের ফোন পেয়ে ওই ছাত্রী নানার বাড়ি থেকে তার সঙ্গে ঘাটাইল উপজেলার চেংটা গ্রামে যায়। আল আমিন কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একটি বাড়িতে রেখে ২৫ দিন ধরে ধর্ষণ করেন। পরে ১৫ই আগস্ট সে তার আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে আসে। বাসস্ট্যান্ডে আল আমিনের বন্ধু পাচারকারী চক্রের সদস্য ট্রাকচালক মাসুদের ট্রাকে উঠে তাদের গন্তব্যে রওনা হয়।
মামলার সূত্র থেকে আরও জানা যায়, পরদিন ১৬ই আগস্ট ভোর ৫টার দিকে একটি ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় ওই স্কুলছাত্রীকে। সেখানে চার-পাঁচজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে। পরে তাদের আলাপচারিতায় ছাত্রী বুঝতে পারে যে, তাকে ভারতে পাচার করা হবে। সে বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে ২৫শে আগস্ট রাত ৮টার দিকে সেখান থেকে পালিয়ে রিকশাযোগে বেনাপোল বাসস্ট্যান্ড আসে। সেখান থেকে ২৬শে আগস্ট বাড়িতে চলে আসে।
ওই কিশোরীর বাবা জানান, আমার মেয়ে বাড়িতে আসার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছে ঘটনাটি জানাই। আসামিদের নাম ও ঠিকানা সংগ্রহ করে ১০ই সেপ্টেম্বর মেয়েকে নিয়ে ভূঞাপুর থানায় একটি অভিযোগ করতে যাই। ভূঞাপুর থানার পুলিশ অভিযোগ শুনে মামলা গ্রহণ না করায় আমি আল আমিনকে প্রধান আসামি করে ট্রাক চালক মাসুম, আসকর মল্লিক, নজরুল মল্লিকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল আদালতে মামলা দায়ের করি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আকবর হোসেন রানা বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ডিবি টাঙ্গাইলকে তদন্তের নির্দেশ দেন। ২০২০ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারির মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি।