২৩ মে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আগের সিদ্ধান্তে অনড় সরকার

আগামী ২৩ মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা রয়েছে
আগামী ২৩ মে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা রয়েছে  © ফাইল ফটো

করোনার কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। হচ্ছে না ক্লাস, বন্ধ কোচিং সেন্টার। লকডাউনের কারণে প্রাইভেট টিউটররাও বাসায় যাচ্ছেন না। ফলে পড়াশোনা একপ্রকার বন্ধ শিক্ষার্থীদের। এরইমধ্যে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। এ পরিস্থিতিতে সরকারের আগের ঘোষিত সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টরা।

তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, আগের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৩ মে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে সরকার। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৩ মে স্কুল-কলেজ ও ২৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। 

এদিকে এ পরিস্থিতিতে দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ২৩ লাখ এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কবে  স্কুল খোলা হবে, আর কবে থেকে পরীক্ষা হবে তা জানা নেই কারোর। এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরাও উদ্বেগে সময় পার করছেন।

তবে মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর ৬০ কর্মদিবস পাঠদান করিয়ে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক পরীক্ষা নিতে চায় বোর্ডগুলো। আগামী আগস্টের শেষ নাগাদ এ পরীক্ষা নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। এইচএসসির ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট কর্মদিবস ক্লাস নিয়ে পরীক্ষা হবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পরীক্ষার্থীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। বিদ্যালয় খুললে ৬০ কর্মদিবস ক্লাস নেওয়া হবে। এরপর ১৫ দিন সময় দিয়ে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেওয়া হবে। এরইমধ্যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এর ওপরই এসএসসির প্রশ্নপত্র করা হবে।

এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, কোনোভাবেই ক্লাস না নিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। এজন্য দুশ্চিন্তার কিছু নেই। তাদেরকে বিষয়বস্তু শিখিয়ে তবেই এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম আমীরুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, এবার প্রায় ২৩ লাখ পরীক্ষার্থী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেবে। ঢাকা বোর্ডের রয়েছে প্রায় পাঁচ লাখ। ফরম পূরণ চলছে। লকডাউনের কারণে এ সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

এর আগে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছিলেন, সবকিছু বিবেচনায় এসএসসি ও এইচএসসির সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। সেটি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যখনই খুলবে, তখন সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পড়ানো হবে। এরপর আরও দুসপ্তাহ সময় দিয়ে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ