করোনা প্রতিরোধে নাজাল ড্রপ, বাজারে আসছে খুব শীঘ্রই

বিআরআইসিএম এর মহাপরিচালক ড. মালা খান
বিআরআইসিএম এর মহাপরিচালক ড. মালা খান   © সংগৃহীত

করোনা প্রতিরোধে সক্ষম নাকের ড্রপ উদ্ভাবনের দাবি করেছে সরকারি প্রতিষ্ঠান, বিআরআইসিএম। সংস্থাটির দাবি, দুইশ' করোনা রোগীর ওপর প্রয়োগ করে ৮০ ভাগ সফলতা মিলেছে। ১০০ টাকা মূল্যের এই ড্রপটি একজন এক মাস ব্যবহার করতে পারবেন। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, সরকারি অনুমোদনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত আবেদন করা হবে।

দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত বছরের মার্চে। ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেছে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ। তবে, এই প্রথম কোভিড প্রতিরোধে নাকের ড্রপ উদ্ভাবনের দাবি করলো দেশের প্রতিষ্ঠান বি আরআইসিএম। 

গবেষকরা জানান, ঢাকা মেডিকেলের দুইশ’ করোনা রোগীর উপর তারা ড্রপটি প্রয়োগ করে সফলতা পেয়েছেন। 

বিআরআইসিএম এর মহাপরিচালক ড. মালা খান বলেন, ‘ফর্মূলাটা করার পরে এই ডাক্তার সাহেবেরা উনারা নিজেরাই নিজেদের শরীরে আগে এপ্লাই করেছেন। নিজেরাই এপ্লাই করে দেখেছেন কোন সাইড এফেক্ট আছে কিনা। কোন ধরণের কোন সাইড এফেক্ট নাই। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ২০০ পেশেন্টের উপর এখানে এপ্লাই করা হয়েছে এবং সেখানে দেখা গেছে নাক এবং গলা বা মুখের জন্য ৮০ শতাংশের মত এটা আমরা সাফল্য পেয়েছি।’ তিনি বলেন,‘ ভাইরাস যখন টেবিলের উপর থাকে তাকে কিল করা আর ভাইরাস যখন গলার ভিতরে থাকে তাকে কিল করা দুইটা আলাদা ইস্যু। সেই বিষয়টাই আমরা এখানে চূড়ান্ত করেছি এবং পৃথিবীতে এটাই প্রথম।’ 

একবার নাকে এটি ব্যবহার করলে টানা তিন ঘন্টা এটি করোনা ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে জানান সংশ্লীষ্টরা। তারা বলেন, আমরা জাস্ট স্প্রেটা করছি, করার দুই থেকে পাঁচ মিনিট পরে আমরা যখন আবার রিপিট স্যাম্পল নিচ্ছি তখন দেখা যাচ্ছে সবগুলো রোগীর নেগেটিভ আসছে। কিংবা মুখে যখন ওষুধের এই লেয়ারটা লেগে থাকবে তখন আমি একজন করোনা রোগীর সংস্পর্শে গেলাম রোগীর হাঁচি-কাশি দিবে তার যে জীবানু আসবে সেটা যখন আমার মুখে পড়বে ঐ মোলিকুলার লাগার সাথে সাথে ভাইরাস ধ্বংস হয়। 

ঢাকা মেডিকেলের সাবেক পরিচালক ব্রি. জে. এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, যেখানে আমরা একটা গণ জমায়েতে যাচ্ছি সেখানে অনেক মানুষের সমাগম হচ্ছে। সেখান থেকে কিন্তু স্প্রেইডটা অনেক বেশি হচ্ছে। আমরা যদি এটা আগে এবং পরে ব্যবহার করি তাহলে অনেক বেশি নিরাপদ থাকতে পারবো। আরেকটি হচ্ছে যে, আমরা জানি ভাইরাস তিন চারদিন আমার এই এলাকাতেই থাকে। অর্থ্যাৎ আমার যদি এরকম কন্ট্রাক্ট হয়েই যায় আমি যদি এটা এপ্লাই করি তাহলে এটার স্প্রে করা বা এটা রিজেনারেট করে ডিপারসাইডে যাওয়ার সুযোগটা কম থাকে। 

ড্রপটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ এখন বাজারে ছাড়ার অনুমোদনের অপেক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি। তারা জানান, এটার প্রোডাকশন কষ্ট পরছে একশ টাকা এবং সেটি ব্যবহার করতে পারবে এক মাসের জন্য। তবে আমাদের এই ধরণের কোন প্রোডাক্ট বাজারজাত করার আগে বা মানুষের সার্বজনীন ব্যবহারের আগে যেটা দরকার হয় সেটা বিএমআরসি'র ট্রায়াল অনুমোদন দরকার হয়। আমরা আগামীকালকে ইনশা আল্লাহ্‌ বি এম আর সি তে এপ্লাই করবো।  

বিআরআইসিএম’র আশা কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা করবে তাদের উদ্ভাবিত নাকের ড্রপটি। 

 


সর্বশেষ সংবাদ