আসছে নতুন আইন
ডে কেয়ার থেকে শিশু হারিয়ে গেলে ১০ বছর জেল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৬:৩১ PM , আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৬:৩১ PM
‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন-২০২১’ নামে একটি আইন করতে যাচ্ছে সরকার। ডে কেয়ার বা শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র থেকে কোনো শিশু হারিয়ে গেলে দায়ী ব্যক্তির সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে আইনের খসড়ায়। আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ আইনের খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানান, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র আইন কার্যকর হলে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিজ ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত শ্রেণির দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা করতে পারবে। কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে কীভাবে তা করতে হবে, আইনে তা বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বলেন, নির্ধারিত শিশু বা ক্ষেত্র মতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর প্রয়োজনীয় সেবা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, নিরাপত্তা, চিকিৎসা, বিনোদন, শিক্ষা ও শিশুর জন্য অনুকূল পরিবেশ এবং প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। তিন মাসে একবার সেবা গ্রহণকারী অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। প্রস্তাবিত আইনে শিশুর জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্ন, কর্তব্যে অবহেলা, শিশুর প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করলে এর প্রতিকার ও সাজার বিধান রাখা হয়েছে।
বর্তমানে দেশে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১১৯টি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র রয়েছে বলে জানান সচিব।
এ ছাড়াও আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে সামরিক শাসনামলে করা অধ্যাদেশগুলোকে আইনের পরিণত করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী একটি নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০১৩ সালে হাইকোর্ট থেকে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছিল- ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে আটাত্তর পর্যন্ত এবং বিরাশি থেকে ছিয়াশির সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যে অর্ডিন্যান্সগুলো (অধ্যাদেশ) করা হয়েছিল সেগুলো বাছাই করে প্রয়োজনীয় আইন করতে হবে। আর যেগুলোর প্রয়োজন নেই সেগুলো বাদ দিতে হবে। এরই মধ্যে কয়েকশ অধ্যাদেশ আইন করা হয়েছে। এখন ৫৯টি আইন বাকি আছে। প্রত্যেক মন্ত্রণালয় অনুযায়ী লিস্ট করে দিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং কেবিনেট থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে আগামী জুন মাসের মধ্যে অবশ্যই এগুলো আইনে পরিণত করবে। এজন্য কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।