রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর শুরু
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০১:৩৮ PM , আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০১:৪৪ PM
কক্সবাজারের কয়েকটি শরণার্থী ক্যাম্প থেকে এক হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গাকে বাসে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন একটি ক্যাম্পের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা একজন কর্মকর্তা। আজ বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়। বিবিসি বাংলা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানান, রোহিঙ্গাদের চট্টগ্রামে নিয়ে নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হবে। সেখান থেকে নৌবাহিনীর জাহাজে করে তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে।
তিনি জানান, ‘ভাসানচরের উদ্দেশ্যে আজ যেসব রোহিঙ্গা পরিবার যাত্রা করেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই নিজেরা সেখানে যাওয়ার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আবার অনেকে কিছুটা দোটানায় থাকলেও ভাসানচরের ছবি, ভিডিও দেখে মত পরিবর্তন করে সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কক্সবাজার থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার দিনেই দুইটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, এই স্থানান্তর প্রক্রিয়া বন্ধ করার আহবান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের বিবৃতিতে বলেছে, বাংলাদেশের সরকারের উচিত একটি স্বচ্ছ স্থানান্তর প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শরণার্থীদের বুঝে-শুনে সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে এবং দ্বীপটিতে যাওয়া-আসার অনুমতি সাপেক্ষে স্থানান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা। সেই সাথে জাতিসংঘের আহ্বান অনুযায়ী একটি স্বাধীন কারিগরি এবং সুরক্ষা বিষয়ক মূল্যায়ন পরিচালনা করা উচিত।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ দাবি করেছে, ভাসান চরে স্থানান্তর করা হবে এমন অন্তত ১২টি পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেছেন তারা। যাদের নাম তালিকায় রয়েছে। কিন্তু তারা স্বেচ্ছায় স্থানান্তর হতে চান না বলে মানবাধিকার সংস্থাটিকে জানিয়েছেন। এই তালিকায় থাকা কিছু শরণার্থী জোর করে স্থানান্তরিত হওয়ার ভয়ে পালিয়েছেন বলেও দাবি করেছে সংস্থাটি।
এর আগে ২ ডিসেম্বর এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ জানায়, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে স্থানান্তরের বিষয়ে জাতিসংঘ অবগত থাকলেও শরণার্থীদের স্থানান্তর প্রস্তুতি কিংবা তাদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংস্থাটিকে যুক্ত করা হয়নি।