দেশে ভিন্ন নামে বাকশাল প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে: জাফরুল্লাহ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২০, ০৩:৫২ PM , আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২০, ০৩:৫২ PM
সরকার দেশে ভিন্ন নামে ‘বাকশাল’ প্রতিষ্ঠা করছে বলে মন্তব্য করে গণস্বাস্থ্যে কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, এই সরকারের সকল কর্মকাণ্ড গণতন্ত্র বিরোধী। আমাদের সংবিধানে আমার কথা বলার অধিকার আছে, আমার সংগঠন করার অধিকার আছে, আমার বক্তব্য দেওয়ার অধিকার আছে জনগণের কাছে। সেটা আমাকে করতে দেওয়া হচ্ছে না।
আজ শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের কালো আইন বাতিল ও নির্বাচন কমিশনের অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচি’-তে অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আজকে জনগণকে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। এ জাতীয় বাধা দেওয়ার কারণে কী হয়? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যতগুলো কাজ আপনি করছেন ক্রমেই তা ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। যেমন ধরেন- সদ্য নারী নিপীড়ন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে যে আইনের সংশোধনী এনেছেন- ফাঁসি। এই ফাঁসি দিয়ে পৃথিবীর কোথাও কোনো পরিবর্তন হয় নাই। এটা মধ্যযুগীয় শাস্তি।
আপনারা পত্রিকা খুলে দেখেন, এই আইন করার আগে ও পরে একফোঁটাও অপরাধ কমেনি। বরং বেড়েছে। এখন বাড়তে বাড়তে শিশুর ওপরই হচ্ছে, স্কুলে হচ্ছে, মাদ্রাসায় হচ্ছে। এতো বড় ভুল কি করে উনি (প্রধানমন্ত্রী) করলেন?
প্রতিবেশী দেশ ভারতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আজকের পত্রিকায় আছে- ভারত আমাদের কতটা লুণ্ঠন করেছে। গত ২০১৮ সালে ভারত বাংলাদেশ থেকে পেয়েছে ১২৮ বিলিয়ন ডলার। আর সারা মুক্তিযুদ্ধে উনাদের খরচ ১০০ মিলিয়নও হয় নাই।
“ওটা উপলক্ষ করে আজকে দেখলাম তোফায়েল (তোফায়েল আহমেদ) সাহেব বলেছেন, ‘আমার আর কিছু পাওয়ার নাই। বঙ্গবন্ধুর স্নেহ পেয়েছি’। এটা উনার আক্ষেপের কথা। তার মতো লোক হাসিনার পাশেই থাকা উচিত। দলের রাজনৈতিক নেতাদের সাথে প্রধানমন্ত্রী আলাপ করেন না, আমাদের সাথে আলাপ করবে কেন?”
সুষ্ঠু ও মানবিক গণতন্ত্র ছাড়া মুক্তির কোনো পথ নেই দাবি করে জাফরুল্লাহ বলেন, পরিবর্তনের জন্য জনগণেরও একটা দায়িত্ব আছে। বিরোধী দলগুলোর ব্যর্থতার কথা অস্বীকার করারও কোনো উপায় নেই। আমরা একত্রে বের হতে পারছি না। কেন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেওয়া হবে না। কেন আমার ভোট আমি দিতে পারি না।
বিচারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হলে জজ সাহেবদের বিবেকবান হতে হবে। জজ সাহেবরা এত ভীত যে এখনো লুকিয়ে থাকেন। ভার্চুয়াল কোর্ট করে বেড়ান। রাস্তায় আমরা বের হচ্ছি না? গাড়িঘোড়া চলছে না? কার বুদ্ধিতে এসব করা হচ্ছে জানি না। তবে আমাদের সামনে সমূহ বিপদ। আমার শেষ আবেদন, আমাদের সবাইকে রাস্তায় থাকতে হবে। সবাইকে গণতান্ত্রিক অধিকার ফেরত দিতে হবে।